Diabetes care: মিষ্টির সঙ্গে আড়ি করেই সুস্থ থাকুন! নতুন বছরে নিজেকে ভাল রাখাই হোক শপথ

Blood Sugar levels: ডায়াবিটিসের সমস্যা মানেই আগে রাশ টানতে হবে খাবারে। প্রতিদিন নিয়ম করে ফল খান, ফাইবার বেশি খান, ময়দা-আলু-চিনি-সহ বাইরের খাবার একেবারেই বাদ দিন। দেখবেন কোনও সমস্যা থাকবে না

Diabetes care: মিষ্টির সঙ্গে আড়ি করেই সুস্থ থাকুন! নতুন বছরে নিজেকে ভাল রাখাই হোক শপথ
নিজের শরীর বুঝে খান, তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 9:59 AM

ছোট থেকেই মিষ্টি মোটেই পছন্দ ছিল না সৃষ্টির। কেউ মিষ্টি হাতে ধরিয়ে দিলেও জোর করে এক কামড়ও বসাত না। যবে থেকে বাড়ির বাইরে থাকতে শুরু করেছে তবে থেকেই মিষ্টির প্রতি ওর একটা অদ্ভুত ভালবাসা তৈরি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করত। কিন্তু যেখানে সে থাকত সেখানে পছন্দসই কোনও মিষ্টি খাওয়ার সুযোগ ছিল না। বয়স বাড়ে, সেই সঙ্গে সৃষ্টির মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছেটাও যেন বাড়তে থাকে। আর এই অতিরিক্ত ভালবাসা থেকেই কিন্তু মিষ্টির সঙ্গে সৃষ্টির জোরদার ঝগড়া হয়ে গেল। শুধু সৃষ্টিই নয়, আজকাল বেশিরভাগই ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন।

আগে একটা বয়সের পর প্রেসার, সুগার, কোলেস্টেরলের সমস্যা আসত। কিন্তু এখন প্রত্যেকেরই যে ভাবে চাপ বেড়েছে তাতে ২৭ বছর বয়স থেকেই আসছে সুগারের সমস্যা। ৩০ পেরোলেই কিন্তু এই সমস্যা অনেকখানি বেড়ে যায়। যে কারণে জোর দিতে হবে জীবনযাত্রায়। ঘুম ঠিকমত না হলে, খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো না হলেই কিন্তু শরীর ভেতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। খেতে কে আর না ভালবাসে! কিন্তু জোর করে বিষ খেলে নিজেরই শরীর খারাপ করে। আর তাই নতুন বছরে আপনার মন্ত্র হোক নিজেকে ভাল রাখা। নিজেকে সুস্থ রাখা। দেখে নিন ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে যে সব নিয়ম আপনি অবশ্যি মেনে চলবেন।

দ্য আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে সুস্থ থাকতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম কিন্তু আপনাকে মানতেই হবে। আর তার মধ্যে প্রধান হল শরীরচর্চা। নিয়ম করে ৩০ মিনিট এক্সসারসাইজ করুন প্রতিদিন। এতে শরীর আর মন দুই ভাল থাকবে। এই ৩০ মিনিটের মধ্যে চলতে পারে মর্নিং ওয়াক, জগিং কিংবা কার্ডিয়ো। কোনও ডান্স এক্সসারসাইজও চাইলে করতে পারেন।

কী কী খাবার খাবেন সারাদিনে তার একটা পরিকল্পনা আগেই করে নিন। প্রয়োজনে রুটিন করে রাখুন। তাহলে আপনার হাতের সামনে থাকবে সব উপকরণ। বাইরের খাবার একেবারেই খাবেন না। বাড়ির বানানো খাবার খান। ফাইবার বেশি করে না। রোজ একটা করে ফল খান। সেই সঙ্গে কিন্তু সময়ে খাবার খেতে হবে। পারলে ক্যালোরি মেপে খান। এতে নিজেরও ট্র্যাক রাখতে সুবিধে হবে।

বাড়িতে গ্লুকোমিটার রাখুন। আর ১০ দিন অন্তর সুগার লেভেন চেক করে নিন। এতে নিজের মনের শান্তি যেমন থাকবে তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে আপনি নিজে সজাগ থাকবেন। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে আরও নানা সমস্যা আসে। সে সব এড়াতে আগে ভাগেই সচেতন থাকুন।

মানসিক চাপ সুগার বাড়ার অন্যতম কারণ। আজকাল সবার জীবনেই নানা রকম চাপ থাকে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে কর্মক্ষেত্র সর্বত্রই কিন্তু কিছু না কিছু লেগেই থাকে। আর তাই চেষ্টা করুন চাপ মুক্ত থাকার। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেবেন না। নিজেকে সময় দিন। বই পড়ুন। নিজের পছন্দের কাজ করুন। নিজেকে ভাল রাখলে কিন্তু অনেক সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব।

আরও পড়ুন: Acid Reflux and Heartburn: কিছু খেলেই বুক জ্বালা, অস্বস্তি? ডায়েটে রাখুন এই ৫ সবজি