ডায়াবেটিকদের জন্য আসছে সুগার-ফ্রি আম! দাম কত?
এই গরমে সুগারের রোগীরা যাতে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো নয়, একেবার আসল ও খাঁটি আম খেতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখে বিশেষ এই আম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
গরম কাল আসতে না আসতেই বাজারে আম বিক্রি হচ্ছে কিনা তার খোঁজ নিতে ভোলে না বাঙালি। শুধু বাঙালি কেন, আপামর ভারতীয়ই আমের প্রেম মশগুল। আম খেতে সকলেই পছন্দ করেন। ম্যাঙ্গো শেক থেকে ম্য়াঙ্গো টার্ট, সব কিছুই এই লকডাউনের সময় বাড়িতে ট্রাই করেছেন অনেকে। গরমের সময় আম দিয়ে তৈরি নানান রেসিপি ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্ত সকলেই যখন এই রসাল মিষ্টিতে ভরপুর ফল নিয়ে আনন্দ করছে, তখন ইচ্ছে থাকলেও গোটা আম খাওয়ার সাহস দেখান না ডায়াবেটিসের রোগীরা । তবে এবার সেই সমস্যারও সমাধান হয়ে গিয়েছে। আসলে মানুষ সব সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারে। এবার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুগার-ফ্রি আম!
না ঠিকই শুনেছেন আপনি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাজারে মিলছে সুগারফ্রি আম। তবে ভারতের বাজারে নয়, পাকিস্তানের মার্কেটগুলিতে এই অভিনব আমের দেদার বিক্রির সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের এম এইচ পানওয়ার ফার্মের আম বিশেষজ্ঞ গুলাম সারয়ারের দাবি, এই গরমে সুগারের রোগীরা যাতে দুধের ঘোলে মেটানো নয়, একেবার আসল ও খাঁটি আম খেতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখে বিশেষ এই আম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। কয়েক বছর গবেষণার পর, আমের মিষ্টতা ৪-৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: একটি আমের দাম ১,০০০টাকা! ‘আফগান’ আম কিনতে আগে বুকিং করতে হয়
সাধারণত, চৌসা বা সিন্ধ্রি আমে ১২-১৫ শতাংশ সুগার থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। কিন্তু তাঁর ফার্মে উত্পাদিত আম যেমন সোনারো, গ্লেন ও কেটে রয়েছে যথাক্রমে ৫.৬ শতাংশ, ৬ শতাংশ ও ৪.৭ শতাংশ মিষ্টি। প্রসঙ্গত এম এইচ পানওয়্যারের তুতো ভাই গুলাম সারওয়ার একটি বিশেষ প্রযুক্ত ব্যবহার করেছেন। তাঁর মতে, আম বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমের মিষ্টির পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার কলা ও আমের উপর গবেষণা চালু রেখেছে।
গবেষণায় বিপুল সাফল্য়ের পর এবার বাজারে বিক্রি করার অপেক্ষা মাত্র। প্রতি এক কিলো ১৫০ টাকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।