Weight Loss Diet Tips: ডিম নাকি পনির! ওজন কমাতে কাকে এগিয়ে রাখবেন? জানুন…
শরীরের জন্য ডিম আর পনির দুটোই প্রয়োজনীয়। তাই রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন এই দুই। কিন্তু যাঁরা পুরোপুরি নিরামিষ খান তাঁরা পনিরের পাশাপাশি সোয়াবিনের বীজ, দুধ এসবও রাখুন ডায়েটে
করোনার চোখ রাঙানি হোক কিংবা অতিরিক্ত ওজন- ডায়েটে ( Diet Tips) কিন্তু অবশ্যই প্রোটিন ( Protein) থাকা দরকার। সব সময় প্রোটিনের প্রতিই সওয়াল করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রোটিন কোশের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রোটিন কিন্তু আমাদের শরীর ফিট রাখে। খাবারের সময়ে প্রোটিন থাকতেই হবে, তার মানে এই নয় যে, থালা ভরে রোজ প্রোটিন খেলেই চলবে। বরং কোন শরীরে কতটা প্রোটিনের দরকার হয়, তা নির্ণয় করে দেয় ওজন ( Weight loss)। প্রত্যেক এক কিলোগ্রাম ওজনের জন্য দরকার হয় ১ গ্রাম প্রোটিনের। অর্থাৎ, যাঁর ওজন ৭০ কিলোগ্রাম, তাঁকে নিদেনপক্ষে ৭০ গ্রাম প্রোটিন খেতেই হবে। যাঁরা ওয়েট লিফটিং করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কিলোগ্রাম ওজনের ভিত্তিতে দেড় থেকে ২ গ্রাম করে প্রোটিনের দরকার। অর্থাৎ। যাঁর ওজন ৬০ কিলোগ্রাম এবং তিনি যদি ভারী শরীর চর্চা করেন, তবে তাঁর ১০০-১২০ গ্রাম প্রোটিন অবশ্যই খাওয়া উচিত। এ ছাড়া, শারীর চর্চার আধ ঘণ্টা পরে ১৫-২০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ ব্যায়ামের পরে শরীরের পেশি সুস্থ করে তুলতে এই প্রোটিন খাওয়া আবশ্যিক।
প্রোটিন যুক্ত খাবারের কথা বললেই প্রথম অপশন হিসেবে আসে ডিম। ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। তেমনই ডিম পুষ্টিতে ভরপুর। আর যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের কাছে ডিমের বিকল্প একমাত্র পনির। তবে সেই দিক থেকে দেখতে গেলে ডিম আর পনির এই দুটোই কিন্তু শরীরের জন্য বেশ ভাল।
ডিমের মধ্যে থাকে যাবতীয় পুষ্টি ও মিনারেল। একটা গোটা ডিম থেকে কিন্তু ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিম যে ভাবে খুশি খেতে পারেন। সিদ্ধ, পোচ, ওমলেট, বা ওটস ওমলেট। অনেকেই আবার ডিমের সাদা অংশ খেয়ে কুসুম এড়িয়ে যান। কিন্তু এই ভাবনা ঠিক নয়। কুসুমে যে খুব বেশি ক্যালোরি থাকে তা একেবারেই নয়। বরং তা শরীরের জন্য খুব ভাল। সবথেকে ভাল হয় যদি প্রতিদিন দেশি মুরগির ডিম খেতে পারেন।
একটি সিদ্ধ ডিমে পুষ্টির পরিমাণ থাকে ৪৪ গ্রাম
এক নজরে দেখে নিন ডিমের পুষ্টির পরিমাণ
প্রোটিন থাকে- ৫.৫ গ্রাম ফ্যাট- ৪.২ গ্রাম ক্যালশিয়াম- ২৪.৬ মিলিগ্রাম আয়রন- ০.৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম- ৫.৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস- ৮৬.৭ মিলিগ্রাম
এছাড়াও আছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, কোলেস্টেরল। ডিমের মধ্যে কিন্তু ভাল কোলেস্টেরল থাকে।
অন্যদিকে ৪০ গ্রাম পনিরের মধ্যে যথাক্রমে
প্রোটিন থাকে- ৭.৫৪ গ্রাম ফ্যাট- ৫.৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট- ৪.৯৬ গ্রাম ফোলেট- ৩৭.৩২ মাইক্রোগ্রাম এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম। দুধ থেকে তৈরি হয় পনির। কাজেই দুধে যা পুষ্টি থাকে পনিরেও তাই। পনিরের স্যান্ডউইচ বা স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও ছানা খেতে পারেন। একবাটি ছানার কিন্তু পুষ্টিমূল্য অনেকটাই।
তবে ওজন কমাতে কোনটা খাবেন?
শরীরের জন্য কিন্তু দুটোই ভাল। এই দুই উপাদানই শরীরে যথাযথ পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়াও প্রোটিন তো পাওয়াই যায়। ওজম কমানোর জন্য কিন্তু ডিম আর পনির মিলিয়ে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে যাঁরা প্রতিদিন ডায়েট এবং শরীরচর্চা করেন তাঁদের জন্য কিন্তু সবচেয়ে ভাল হল ডিম। আর যাঁরা নিরামিষ খান তাঁরা যদি পনিরের পাশাপাশি সোয়াবিনের বীজ খেতে পারেন তাহলেও কিন্তু খুব ভাল।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।