অ্যাথলিটদের জন্য ফুচকাই হল সেরা স্ট্রিট ফুড! পছন্দের খাবার নিয়ে অকপট অলিম্পিক সোনাজয়ী
জানেন কী, নীরজ চোপড়া একজন ভালো রাঁধতেও পারেন! আর তাঁর পছন্দের রেসিপি হল নামকিন চাউল। মানে নোনচা ভাত। কড়া ডায়েটের পর চিট মিল হিসেবে নিজেই রান্না করে এই পছন্দের খাবার খেয়ে নেন।
অলিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছেন সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। এই প্রথমবার ভারতের হয়ে অলিম্পিকে ট্র্য়াক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে সোনা জিতলেন কোনও অ্যাথলিট। টোকিয়োয় পুরুষদের জ্যাবেলিন থ্রোয়ে সোনার মেডেল জিতে আপাতত ইতিহাস রচনা করেছেন এই ২৪ বছরের যুবক। দেশের জ্যাভেলিন স্টার দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁড়ে রেকর্ড গড়েছেন। আপাতত বিশ্ব জ্যাভেলিনে প্রথম স্থানে রয়েছেন এই ভারতীয় যুবক। ২০০৮ সালে পর, ফের অলিম্পিকে ভারতে জাতীয় সংগীত শোনা গেল শুধুমাত্র নীরজের কৃতিত্বে। হরিয়ানার পানিপতের কাছে খান্দ্রা জেলায় মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এই উজ্জ্বল প্রতিভাবান যুবক এখন দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার।
খেলাধুসো জগতে যাঁরা নিজেদের কৃতিত্ব অর্জন করতে চান, তাঁরা অত্যন্ত কঠিন ও মনোযোগ সহকারে ডায়েট অনুসরণ করেন। এতটুকু এদিক থেকে ওদিক হওয়ার নেই। শরীরে অতিরিক্ত শক্তি বৃদ্ধি করতে ও পেশীর স্থিতিস্থাপকতা আনতে ডায়েট মেনে চলেন ক্রীড়াবিদরা। খেলার জন্য শরীরকে ফিট রাখতে জাঙ্ক ফুড থেকে শতদূর হাতে থাকেন তাঁরা। দঙ্গল সিনেমার দৌলতে, খেলোয়াড়দের ডায়েট ও দীবন কেমন হয়, তার কিঞ্চিত ধারণা ভারতবাসীর হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ডায়েট থেকে জাঙ্ক ফুড, ডেসার্ট, ফুচকা (পানি পুরি), এই সব লোভনীয় খাবার একেবারেই বাদ। কিন্তু এক্ষেত্রে নীরজ একটু ব্যতিক্রমী। তাঁর কথায়, অ্যাথলিটদের জন্য সেরা স্ট্রিট ফুড হল দেশি পানি পুরি! অবাক হওয়ার কিছু নেই, এমনটাই একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন এই সোনার ছেলে!
সোনার পদকজয়ীর কথায়, পানি পুরি খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। অ্যাথলিটরা এই জনপ্রিয় ও সেরা স্ট্রিট ফুড অনায়াসেই খেতে পারেন। কারণ, পানি পুরিতে যে জল থাকে তা পেট ভরে যায়। পুরি অত্যন্ত হালকা ও ময়দা দিয়ে তৈরি। পুরিতে অবশ্যই মশলাদার আলুর পুর থাকে, তবে তা পেটের বা শরীরে জন্য একেবারেই ক্ষতিকর নয়।
জানেন কী, নীরজ চোপড়া একজন ভালো রাঁধতেও পারেন! আর তাঁর পছন্দের রেসিপি হল নামকিন চাউল। মানে নোনচা ভাত। কড়া ডায়েটের পর চিট মিল হিসেবে নিজেই রান্না করে এই পছন্দের খাবার খেয়ে নেন। অ্যাথলিটরা মিষ্টি খান না। এমন কঠিন ব্রতকেও ভেঙে দিয়েছেন নীরজ। সময় পেলেই মিষ্টি খেয়ে ফেলেন তিনি। তবে তা একেবারেই বাড়ির তৈরি খাবার হতে হবে। ডায়েটের প্রয়োজনে মাঝে মাজে বিসেষ মিষ্টি খান, তবে তাঁর পছন্দের মিষ্টি হল বাড়ির তৈরি চুরমা। রুটি, ঘি আর চিনি দিয়ে তৈরি হয় এই চুরমা। তবে ট্রেনিংয়ে থাকাকালীন কোনও চিট মিল থাকে না, তাই এইসব খাবার আর মুখেও তোলা হয় না।
আরও পড়ুন: Olympics 2020: সোনার ছেলের ইতিহাস গড়ার পিছনে রয়েছে দুর্দান্ত ফিটনেস রুটিন! দেখুন ভিডিয়োতে