Beetroot Side Effects: শরীরের জন্য অবশ্যই ভাল, কিন্তু এই সব সমস্যা থাকলে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন বিট
Raw beets: বিট কোনও অবস্থাতেই কাঁচা খাবেন না। স্যালাডে দিলেও ভাপিয়ে খান। এছাড়াও বিটের জুস বানানোর আগেও অল্প ভাপিয়ে নিয়ে তারপর পেস্ট করুন
বিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। েই শীতেই বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় বিটরুট। তাই স্যালাড থেকে তরকারি, শীতের খাবারেই বিটের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। যাঁরা নিয়মিত ডায়েট করেন, স্বাস্থ্য সচেতন তাদের মধ্যে অনেকেই এই সময় বিটের ডিটক্স জুস খান। এছাড়াও বিটের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬। যাঁদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য কিন্তু বিট খুবই ভাল। এত গেল বিটের ভাল দিক। কিন্তু সবার জন্য বিট মোটেও উপকারী নয়। যাঁদের রক্তচাপ সব সময় কম থাকে, যাঁদের কিডনি কিংবা গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু বিট একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা যাঁদের রয়েছে- যাঁরা নিয়মিত লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য বিটরুট মোটেও ভাল নয়। কারণ বিট রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই বযাঁরা প্রায়ই এই রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা কিন্তু বিট কিংবা বিটের তরকারি একেবারেই খাবেন না।
স্টোনের সমস্যায়- যাঁরা স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদেরও কিন্তু ডায়েট থেকে বিট বাদ রাখা উচিত। যাঁদের গলব্লাডারে সমস্যা রয়েছে, নিয়মিত কিডনি স্টোনের ওষুধ খান তাঁদেরও কিন্তু বিট এড়িয়ে চলা ভাল। বিটের মধ্যে রয়েছে অক্সালেট, যা কিডনির নানা সমস্যা আরও জটিল করে তোলে। বিশেষত যাঁদের কিডনিতে স্টোন রয়েছে তাঁরা ভুল করেও মুখে তুলবেন না বিট।
অ্যালার্জির সমস্যা- দূষণ এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের ফলে আজকাল অ্যালার্জির সমস্যা ঘরে ঘরে। আজকাল শ্বাসকষ্টও কিন্তু একপ্রকার অ্যালার্জি জনিত সমস্যা। আর এই সমস্যায় বিট এড়িয়ে চলুন। অজান্তেই বিট খেলে পড়তে পারেন অ্যালার্জির গুরুতর সমস্যায়। ত্বকে র্যাশ হতে পারে।
ডায়াবিটিসের সমস্যায়- বিটের মধ্যে সুগারের ভাগ বেশি। আর মাটির নীচের সবজি হওয়ায় বিট স্বাদেও মিষ্টি। বিটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। যে কারণে যাঁদের সুগার রয়েছে কিংবা সুগার একেবারে বিপদসীমায় তাঁরা কিন্তু বিট খাবেন না। এমনকী বিটের তৈরি ডিটক্স ড্রিংকও নয়। তবে যাঁদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তাঁদের কিন্তু মাঝেমধ্যে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে বিট ভাপিয়ে নিয়ে জল ফেলে নিন। তারপর তা মিশিয়ে দিন তরকারিতে। তবে কাঁচা বিট কিন্তু স্যালাডে না খাওয়ারই চেষ্টা করবেন। কিন্তু যাঁরা বিটের জুস বানিয়ে খেতে চান কিন্তু ডায়াবিটিসে ভুগছেন তাঁরা যে ভাবে বানাবেন-
বিট প্রথমে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে প্রেসার কুকারে ভাপিয়ে নিন। এবার আদা ছোট টুকরো করে কাটুন। এই আদা আর বিট একসঙ্গে গ্রাইন্ডারে পিষে নিন। জুস হয়ে গেলে তা ভাল করে ছেঁকে নিনি গ্লাসে। এবার ওর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিলেই চলবে। তবে সব জুস যে একবারেই খেয়ে ফেলতে হবে তা নয়। ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। এছাড়াও বিট, গাজর, টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে জুস বানাতে পারেন। বিট আর বেদানা একসঙ্গে মিশিয়ে জুস বানাতে পারেন। খালি পেটে বিটের জুস খাওয়া সবচেয়ে ভাল।