Pineapple Side effects: আনারস খেতে ভালবাসেন? তাহলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও জেনে রাখুন…
Pineapple: আনারসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর তাই ওজন কমাতেও তা কিন্তু সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা আসতে পারে
গরমের দিনে আম, জাম, কাঁঠালের পাশাপাশি আরও যে ফলটির কদর বাড়ে তা হল আনারস। এছাড়াও সমুদ্র তীরবর্তী যে কোনও জায়গাতেই কিন্তু ডাবের সঙ্গে চাহিদা থাকে আনারসেরও। যে কোনও রিফ্রেশিং ড্রিংক তৈরি করতেই ব্যবহার করা হয় এই আনারস। সেই সঙ্গে এই পানীয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনও থাকে। এছাড়াও আনারসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানও। আর আনারসের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই নেই। আনারসের মধ্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবারও। এককাপ আনারসের মধ্যে ফাইবার আছে ২.৩ গ্রাম। আর এই ফাইবার কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রক্ত শর্করাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আনারসের একাধিক উপকারিতার সঙ্গে কিন্তু বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
Inflammatory bowel disease (IBD) এর সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের জদদন্য কিন্তু আনারস একেবারেই ভাল নয়। কারণ এখান থেকে বাড়ে প্রদাহজনিত জ্বালা, সমস্যা। যে কারণে যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, অল্পেই পেট ফেঁপে যায় তাঁদের আনারস না খাওয়াই ভাল। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সব চিকিৎসকের একরকম মত নেই।
আনারসের মধ্যে যে ল্যাটেক্স থাকে সেখান থেকেও কিন্তু একাধিক সমস্যা আসতে পারে। এতে পেটে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। তাই যাদের কোনও রকম অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের কিন্তু এই আনারস এড়িয়ে চলাই ভাল।
এছাড়াও আনারস থেকে বমি, অ্যাসিডের সম্ভাবনাও কিন্তু আসে। হতে পারে ডায়ারিয়ার সমস্যাও। আর তাই অতিরিক্ত পরিমাণ আনারস কিন্তু না খাওয়াই ভাল। অনেকেই ওজন কমাতে অতিরিক্ত আনারস খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়।
আনারসের মধ্যে থাকে ব্রোমেলাইন- যা কিন্তু ঠোঁট, মুখের পেশি টানটান করে দেয়। আর তাই আনারস যদি রান্না করে খান-কেক/কুকিজ তৈরিতে ব্যবহার করেন বা আনারস দিয়ে চিকেন রান্না করা হয় তাহলে এই ব্রোমেলাইন ভেঙে যায়। এর ফলে কিন্তু হজম প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। বরং কাঁচা খাওয়ার থেকে আনারস রান্না করে খাওয়া অনেক ভাল।
আনারসের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম থাকে। যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে আনারসের।
তবে এই ব্রোমেলাইন কাজ করে অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট হিসেবে। আর তাই তা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দে.। এর ফলে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে এই বিষয়টিও কিন্তু মাথায় রাখা জরুরি।
তবে যে কোনও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু সাহায্য করে এই আনারস। যে কোনও জয়েন্ট পেইন, জ্বালা-ব্যথা ভাব এবং পোড়ার ক্ষেত্রে কিন্তু সাহায্য করে আনারস।
আরও পড়ুন: Refreshing Drink: বাড়িতে অতিথি এলে অন্যকিছু নয়, ডাবের জল দিয়ে বানিয়ে দিন এই হেলদি ড্রিংক!!