Weight loss juice: ওজন কমাতে বন্ধু পাতান এই কয়েকটি জুসের সঙ্গে!
ওজন কমাতে খুববই ভাল কাজ করে এই কয়েকটি জুস। তবে শরীর বুঝে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই কিন্তু খাওয়া শুরু করবেন
আজকাল ওজন কমাতে অনেকেই বিভিন্ন রকম জুস খান। এমনকী বিশেষজ্ঞরাও সেই জুস খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে জুস খাচ্ছেন বলেই যে আপনাকে পুরেপুরি লিক্যুইড ডায়েট করতে হবে এমন কিন্তু নয়। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমালে শরীর থাকে সুস্থ। এছাড়াও প্রত্যেকেরই উচিত রোজকার জীবনযাত্রায় একটা রুটিন মেনে চলা। এতে শরীর, ত্বক, চুল সবই কিন্তু ভাল থাকে। আর তাই প্রতিদিন কিছু তাজা ফল এবং ফলের রস রাখতে পারেন আপনার ডায়েটে। কারণ এই সমস্ত জুস দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে জুসের মংধ্যে থাকে প্রচুর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- যা আমাদের মেটাবলিজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কিন্তু ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে। দেখে নিন কোন কোন জুসে দিন শুরু করতে পারেন-
গাজরের জুস- গাজরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে কোনও রকম ক্যালোরি থাকে না। আর তাই এই জুস কিন্তু তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের সঙ্গে কয়েক টুকরো আপেল, ৬ কোয়া কমলালেবু, হাফ আদার টুকরো মিশিয়ে ভাল করে পিষে নিন। এই ডিটক্স ড্রিংক শরীরের জন্য খুব ভাল। এমনকী ওজনও কমায় দ্রুত।
করলার জুস- ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনই কিন্তু দ্রুত ওজন ঝরাতে সাহায্য করে এই করলার জুস। ১০০ গ্রাম করোলার জুস খেলে ১৭ ক্যালোরি খরচা হয়। আর তাই সকালে উঠেই দিন শুরু করতে পারেন এই জুস দিয়ে। প্রাচীন কাল থেকেই এই জুস খাওয়ার কথা বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
শসার জুস- শসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই থাকে না বললে চলে। আর তাই এই জুস রাখুন রোজকার ডায়েটে। আর শসার জুস অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
আমলার জুস- আমলার জুস ভীষণই হজমে সহায়ক। এছাড়াও মেটাবলিজম ঠিক রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই জুসের। রোজ সকালে খালিপেটে এক গ্লাস আমলার জুস দিয়ে দিন শুরু করুন। এতে শরীর ভাল থাকবে। সেই সঙ্গে হজমও কিন্তু ভাল হবে।
বেদানার জুস- ত্বক আর চুলের জন্য খুবই উপকারী হল বেদানা। বেদানার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে পলিফেনল, কনজুগেটেট লিনোলেনিক অ্যাসিড। আর তাই এই জুস অবশ্যই রাখুন রোজকার ডায়েটে।
জুস কিন্তু বানিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। সঙ্গে সঙ্গেই তা খান। আর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে তবেই রাখবেন ডায়েটে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।