Fish Curry: সিফুড কারি খেতে ইচ্ছা করেছে? চটপট বানিয়ে ফেলুন গোয়ার জনপ্রিয় এই পদ
গোয়ার অবস্থান অনুযায়ী রয়েছে উপকূলীয় ও পশ্চিমঘাটের ছোঁয়া। সুতরাং মশলা আর সামুদ্রিক মাছের মেলবন্ধন। এতেই বুঝতে পারছেন যে খেতে কতটা সুস্বাদু হবে এই মাছের পদ।
মাছের বিষয়ে বাঙালিদের সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা না হলেও, এটা আপনিও শিকার করবেন যে সিফুডের স্বাদ আমাদের বাঙালি খাবারে পাওয়া যায় না। সিফুড মানেই যে শুধু কাঁকড়া, চিংড়ি, লবস্টারের পদ থাকে তা নয়। বিভিন্ন মাছেরও পদ রয়েছে এই সিফুডের তালিকায়। আর আপনি যদি অথেন্টিক সিফুড কারি খেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে কোনও সাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে। সেটা তো আর নিশ্চয়ই বার বার সম্ভব নয়। তাই আমরা আপনার জন্য এমনই একটি মাছের কারির রেসিপি নিয়ে এসেছি, যা আপনি বাংলায় রান্না করে গোয়ার স্বাদ পাবেন।
এই পদের নাম গোয়ান ফিশ কারি, অর্থাৎ গোয়ার জনপ্রিয় মাছের কারির পদ। গোয়ার অবস্থান অনুযায়ী রয়েছে উপকূলীয় ও পশ্চিমঘাটের ছোঁয়া। সুতরাং মশলা আর সামুদ্রিক মাছের মেলবন্ধন। এতেই বুঝতে পারছেন যে খেতে কতটা সুস্বাদু হবে এই মাছের পদ। তাহলে চলুন, দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক গোয়ান ফিশ কারি কীভাবে আপনি বাড়িতে রান্না করবেন।
গোয়ান ফিশ কারি তৈরি করার উপকরণ-
১ লেবু, ২ মিডিয়াম সাইজের সামুদ্রিক মাছ (আপনি চাইলে বাসা বা ভেটকি মাছও ব্যবহার করতে পারেন, তবে লম্বা আকারে কেটে মাছে ফিলে বানিয়ে নেবেন), স্বাদ মত নুন
মশলা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন-
১/২ চামচ জিরে, ১/২ হলুদ গুঁড়ো, ৪ খোয়া রসুন, ৮ টা কাশ্মীরি লাল লঙ্কা, ১ চামচ ধনে, ১ টা নারকেল কুরো, ২ টো তেঁতুলকে জলে ভিজিয়ে রাখবেন তেঁতুল কাইয়ের জন্য, ১/২ কাপ জল, ১ টা পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কাটা, ২ টো কাঁচা লঙ্কা কুচি কুচি করে কাটা।
গোয়ান ফিশ কারি তৈরি করার পদ্ধতি-
প্রথমে মাছে নুন ও লেবুর রস দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এই সময়ে মিক্সিতে জিরে, হলুদ গুঁড়ো, রসুন, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা, ধনে, নারকেল কুরো, তেঁতুল কাই দিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এতে অল্প জল যোগ করতে পারেন পেস্টের ঘনত্বের জন্য। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি ও লঙ্কা কুচি যোগ করে আরেকবার বেটে নিন।
এবার কড়াইতে তেল গরম করুন। বাটা মশলাটা ওই গরম তেলে দিয়ে ভেজে নিন ভাল করে। ১০ মিনিট বেশি আঁচে রেখে ভাজুন। খেয়াল রাখবেন যাতে মশলাটা কড়াইতে ধরে না যায়। মশলাটা কড়াইতে তেল ছাড়তে শুরু করলে এবার তাতে ম্যারিনেট করা মাছটা দিয়ে নিন। প্রয়োজনে অল্প জল দিন, যাতে কারির পরিমাণ ঠিক থাকে। এবার এটা ঢাকা দিয়ে দিন। যখন দেখবেন কারিটা ফুটতে শুরু করেছে তখন ঢাকাটা সরিয়ে নিন। দেখুন মাছ গুলো সেদ্ধ হয়েছে কিনা। যদি মাছ গুলো সেদ্ধ হয়ে যায় এবং কারির ঘনত্ব ঠিক থাকে, তাহলে জানবেন তৈরি আপনার গোয়ান ফিশ কারি। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন গোয়ান ফিশ কারি।
আরও পড়ুন: উত্তর ভারতের গুজিয়ার কথা নিশ্চয়ই জানেন? এবার আপনিও তৈরি করতে পারবেন বাড়িতে