‘MA English Chaiwali’: চেষ্টা করেও চাকরি জোটেনি, কলকাতায় চায়ের দোকান খুলে তাক লাগালেন এমএ পাশ করা টুকটুকি!

প্রথমদিকে, জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল কিন্তু পরে একটি ভাল জায়গা খুঁজে পেয়ছি। এখন চা-বিস্কুট বিক্রি করছি। আমার এমএ ডিগ্রি আছে বলেই আমি দোকানের নাম এমনটা দিয়েছি।"

'MA English Chaiwali': চেষ্টা করেও চাকরি জোটেনি, কলকাতায় চায়ের দোকান খুলে তাক লাগালেন এমএ পাশ করা টুকটুকি!
চায়ের দোকানে চা বিক্রিতে ব্যস্ত টুকটুকি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2021 | 8:26 AM

পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। মা-বাবার কথামতো, পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে আকাশ ছুঁতে চেয়েছিলেন কলকাতার টুকটুকি দাস। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা করে শিক্ষক হবেন। সেই মতো কঠোর অধ্যায়ন করে পরীক্ষায় বরাবর ভাল ফল করে এসেছেন। ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু উপযুক্ত ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও চাকরি জোটেনি তাঁর কপালে। অনেক পরীক্ষায় তিনি চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পার হতে পারেননি। অবশেষে সংসারের হাল ধরতে চা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টুকটুকি।

উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া স্টেশনে একটি চায়ের দোকাল খুলে চা বিক্রি করেন বছর ২৫-এর যুবতী। যদি কেউ হাবড়া স্টেশনে যান, তাহলে টুকটুকির দোকানের ব্যানার চোখে পড়বেই। কারণ সেখানে লেখা রয়েছে ‘এমএ ইংলিশ চাইওয়ালি’। টুকটুকির বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক, মা একটি মুদির দোকান চালান। তবে টুকটুকির এই চা বিক্রির ব্যবসা করার পথ ততটা মসৃণ ছিল না। প্রথমদিকে টুকটুকির চাকরি না পেয়ে চা বিক্রি করার পরিকল্পনায় সম্মতি ছিল না খোদ বাবা-মায়ের। তবে পরে মেয়েদের জেদের কাছে নতিস্বীকার করেন তাঁরা।

লকডাউনে ‘এমবিএ চাওয়ালা’-র কাহিনির কথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারেন টুকটুকি। সেই গল্পেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই ব্যবসায় নামা। তাঁর কথায়, ”কোনও কাজই ছোট নয়। ‘এমবিএ চাওয়ালা’-এর মতো নিজের চায়ের দোকানে কাজ শুরু করেছি। প্রথমদিকে, জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল কিন্তু পরে একটি ভাল জায়গা খুঁজে পেয়ছি। এখন চা-বিস্কুট বিক্রি করছি। আমার এমএ ডিগ্রি আছে বলেই আমি দোকানের নাম এমনটা দিয়েছি।”

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও, এই ব্যবসার মাধ্যমেই এখন বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন টুকটুকি। টুকটুকির দোকানে যারা চা খেতে যায় তারা এর নামের জন্য এটির দিকে আকৃষ্ট হয়, স্টেশনের অনেক যাত্রী তার স্বনির্ভরতার নীতির সাথে একমত। তারাও মনে করেন যে টুকটুকির গল্প দেশের অন্যান্য সু-যোগ্য যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।

এই প্রথমবার নয় যে একজন উচ্চ-শিক্ষিত ব্যক্তি চা-বিক্রয়ের পথে এগিয়ে চলেছেন। মধ্যপ্রদেশের লাবরাভদা গ্রামের কৃষকের ছেলে প্রফুল্ল বিল্লোর, একটানা তিন বছর ধরে কমন অ্যাডমিশন টেস্টের (ক্যাট) প্রস্তুতি নেওয়ার পর সে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। পরে চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে চায়ের স্টল খুলে ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। আজ, তিনি সারা দেশে ২২টিরও বেশি আউটলেট-সহ একজন বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেছেন। শীঘ্রই একটি আন্তর্জাতিক আউটলেটও খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রফুল্ল।

আরও পড়ুন: Halwa Recipe: স্বাস্থ্যকর ডেসার্টের খোঁজ করছেন? বাড়িতে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন জুকিনি হালুয়া