Shigella Bacteria: শোওরমা রোল পছন্দ করেন? সাবধাণ, হতে পারে প্রাণহানিও…
Food Poisoning: গরমের দিনে মাংস জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ েই অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে আগে পচন ধরে মাংসে। আর সেই খাবার খেলে সেখান হতে হতে পারে বিপত্তি। থাকে প্রাণহানির সম্ভাবনাও...
Shawarma Food Poisoning: টিউশনের বাইরেই ফলের রসের দোকান। কাঠফাটা গরমে স্বস্তি পাওয়ার জন্য প্রায়সময়ই ওই দোকানে ভিড় জমাত স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারা। সম্প্রতিই সেখানে আবার আরবের জনপ্রিয় খাবার ‘শোওরমা’ (Shawarma) বিক্রি শুরু হয়েছিল। পড়া শেষ হওয়ার পর সব বন্ধুরা মিলে দোকান থেকে সেই খাবারই খেয়েছিল। আর তাতেই হল বিপত্তি। ওই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল কেরলের ১৮ জন পড়ুয়া। গত রবিবার এক পড়ুয়ার মৃত্যুও হয়। সেখান থেকে শুরু শোরগোল। কেরলের কোঝিকোড ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ওই বিষাক্ত শোওরমার অংশবিশেষ নিয়ে। দেখা যায় রোলটির মধ্যে যে মাংস থাকে অতিরিক্ত গরমে তা পচে গিয়েছিল। শিগেলা ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও আরও তিন রকম জীবাণু সেখানে বাসা বেঁধেছিল। গরমের দিনে যে কোনও খাবারই তাড়াতাড়ি পচে যায়। এক্ষেত্রেও কিন্তু তাই হয়েছিল।
কিন্তু কি এই শিগেলা ব্যাকটেরিয়া?
মায়ো ক্লিনিকের মতে, শিগেলা সংক্রমণ হল একটি অন্ত্রের প্রদাহ যার জন্য একরকম ব্যাকটেরিয়া দায়ী। যাকে বলা হয় শিগেলা। শিগেলা সংক্রমণের প্রধান উপসর্গ রক্তাক্ত ডায়ারিয়া। শিগেলা অত্যন্ত সংক্রামক। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। এই শিগেলা ব্যাকটেরিয়া কোনও খাবারের মাধ্যমে অল্প পরিমাণ পেটে গেলেই কিন্তু মুশকিল। হতে পারে মারাত্মক সংক্রমণ। এছাড়াও, বাচ্চাদের ডায়াপার পরিবর্তন করে ও বাথরুম করে যদি হাত না ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে এই সংক্রমণ।
সংক্রমিত খাবার থেকেও শিগেলা ছড়ায়
সংক্রামিত খাবার খাওয়া, আঢাকা জল পান করা, নোংরা জলে সাঁতার কাটা, না ধুয়ে ফল ও শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমেও শিগেলা ছড়ায়। তবে সংক্রমণ হালকা হলে সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ ভালো না হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তাররা প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেন।
কাদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি
মায়ো ক্লিনিকের মতে, শিগেলা সংক্রমণের লক্ষণগুলি সাধারণত শিগেলার সংস্পর্শে আসার এক বা দু দিন পরে শুরু হয়। তবে তাদের বিকাশ হতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে। গর্ভবতী মহিলা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি।
শিগেলার লক্ষণ খুব দ্রুত প্রকাশ পায় না। শিগেলা দ্বারা সংক্রামিত হলে প্রথমে ডায়ারিয়া, পেটে ব্যথা বা ক্র্যাম্প, জ্বর, বমি এবং বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গগুলি অনুভব করতে পারেন।
কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
এই উপসর্গ গুলির মধ্যে যদি কোনও একটি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। নইলে বাড়তে পারে ঝুঁকি। যদি মলের সঙ্গে রক্তপাত, ডায়ারিয়া, ডিহাইড্রেশন ও ওজন ক্রমাগত কমতে থাকে তাহলে কিন্তু ঝুঁকি সবচাইতে বেশি। সেই সঙ্গে জ্বর ১০১ ডিগ্রির বেশি হলে যত সম্ভব দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।