Asthma Causing Foods: ঠাণ্ডায় এই ৫ খাবার খেলেই শুরু হবে মারাত্মক হাঁপানি, তাই ভুলেও নয়
What not to eat in Asthma: আখরোট, পেস্তার মত শুকনো ফল হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই সব ফলের মধ্যে অ্যালার্জেন থাকে, যা হাঁপানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়
পরিবেশ দূষণের কারণেই বেড়েছে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা। আজকাল নবজাতকরাও ভুগছে এই রোগে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০১৯ সালে প্রায় ২ কোটি ৬২ লক্ষ মানুষ ভুগছিলেন অ্যাজমাতে (Asthma)। একবছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটিতে। এমনকী অ্যাজমা (Asthma)-তে আক্রান্ত হয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কোভিড ভাইরাসের প্রকোপ সবচাইতে বেশি পড়েছিল ফুসফুসেই। যাঁরা একবার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদেরও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমেছে। আর তাই যাঁদের ঠাণ্ডা লাগলেই অ্যাজমার সমস্যা হয় তাঁদের প্রথম থেকেই সচেতন থাকতে হবে। ক্রমাগত কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগা, দমবন্ধ হয়ে আসা, কাশতে কাশতে বুকে ব্যথা হয়ে গেলে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে। আর তাই ঠাণ্ডা জলে স্নান না করা, কানে ঠাণ্ডা না লাগানো এসব মেনে চলার পাশাপাশি খাবারেও আনতে হবে সীমাবদ্ধতা। কারণ কিছু খাবারও শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য দায়ী। শীতে এই সব খাবার তাই ভুল করেও নয়-
আচার- শীতের দিনে আচার দিয়ে পরোটা খেতে মন্দ লাগে না। তবে হাঁপানির সমস্যা থাকলে আচার একেবারেই নয়। আচার যাতে বেশিদিন ভাল থাকে তার জন্য বেশি পরিমাণে সালফাইট মেশানো হয়। এই সালফাইট রক্তে মিশলে কাশি, হাঁপানির মত সমস্যা বেড়ে যায়।
আখরোট-পেস্তা- আখরোট, পেস্তার মত শুকনো ফল হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই সব ফলের মধ্যে অ্যালার্জেন থাকে, যা হাঁপানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আর তাই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রাজমা- রাজমার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর এই কার্বোহাইড্রেট ভেঙে গেলে পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি হয়। গ্যাস হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বাড়ে। তাই এমন কোনও খাবার খাবেন না যার থেকে গ্যাস হতে পারে। কড়াইশুটির কচুরি, ঘুগনি, ছোলার ডাল, রাজমা-চাউল এসব হাঁপানির রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে।
চা, কফি- দুধ দিয়ে বানানো চা আর কফিও হাঁপানির অন্যতম কারণ। অচিরিক্ত চা, কফিও তাই শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে চা, কফিতে স্যালিসিলেট থাকে যা হাঁপানির কারণ।
হাঁপানির সমস্যা থাকলে দুধের থেকে তৈরি কোনও খাবারও একেবারেই নয়। কারণ এতে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। দুধ, ছানা, পায়েস, মিষ্টি এসব একেবারেই নয় যদি অ্যাজমার সমস্যা থাকে।