Orissa Toy Train: নন্দনকানন চিড়িয়াখানা থেকে চালু করা হল ইকো-ফ্রেন্ডলি টয় ট্রেন, চলবে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত…
ওড়িশার এই ধরনের প্রকল্পে পর্যটকরাও নতুন অনুপ্রেরণা পেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে নন্দনকানন বা সংলগ্ন জায়গা বেশ কিছুটা একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। এবার সেই সব জায়গার একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে আরও উদ্বুদ্ধ করে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওড়িশার বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বিক্রম কেশরী অরুখা শুক্রবার ভুবনেশ্বরের নাদনকাননা জুলজিক্যাল পার্কে পরিবেশবান্ধব ব্যাটারিচালিত টয় ট্রেনের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য রোপওয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুরেশ কুমার রাউত্রয়।
মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে নন্দনকানন প্রাণিবিদ্যা পার্কের উপ-পরিচালক সঞ্জিত কুমার বলেন, “ব্যাটারিতে চলবে এমন টয়ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি হুইলচেয়ার ছাড়াও ৭২ টি সিটের পাঁচটি কোচ রয়েছে।” তিনি বলেন, “ট্রেনটি ১.৬৫ কিলোমিটার পরিসরের দূরত্ব যেতে পারবে।” হাতি ও হরিণের পাশাপাশি কানজিয়া লেকের পরিবেশও উপভোগ করা যাবে চিড়িয়াখানা চত্বরে।
পর্যটকদের মধ্যে চিড়িয়াখানায় শিশুদের জন্য ২০ টাকা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা দিয়ে টয় ট্রেনের পরিষেবা বহাল করা হবে। রোপওয়ে প্রসঙ্গে কুমার বলেন, “রোপওয়ের আনুমানিক ব্যয় ১৩ কোটি টাকা। এটি প্রতিষ্ঠার দিন থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।” কুমার যোগ করেন, “১২ টি কেবিনের সুবিধা থাকায় রোপওয়ে কোনও পিলার সাপোর্ট ছাড়াই সরানো হবে। হ্রদ থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ মিটার উচ্চতায় জুওলজিক্যাল পার্ক এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যবর্তী একটি হ্রদ অতিক্রম করবে ঐ কেবিন। এটি পর্যটকদের একটি সুন্দর বার্ডস আই ভিউ প্রদান করবে।”
কুমার আরও বলেছিলেন যে রোপওয়ে সিস্টেমটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তৈরি করা হবে। যা নন্দনকানন এবং ওড়িশার পর্যটকদের আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। করোনা কালে এই ধরনের প্রস্তুতি সত্যিই সাড়া ফেলতে পারে পর্যটন শিল্পে। ওড়িশার এই ধরনের প্রকল্পে পর্যটকরাও নতুন অনুপ্রেরণা পেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে নন্দনকানন বা সংলগ্ন জায়গা বেশ কিছুটা একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। এবার সেই সব জায়গার একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে আরও উদ্বুদ্ধ করে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে বিভিন্ন ধরনের অনুপ্রেরণাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনকে ফের সচল করতে পারে। করোনা কালে আমাদের স্বাভাবিক জীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় লেগেছে এবং আগামীদিনেও লাগবে। এখনও পর্যটকদের মধ্যে প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাস আসা বাকি। আশা করা যায়, সময় যত এগবে, সব কিছুই আগের মতো হয়ে উঠবে। রোপওয়ে শুরু সময়, আশা করাই যায় যে করোনা একটা অতীত হয়েই থেকে যাবে।
আরও পড়ুন: Sri Lanka Travel: শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে যাওয়া বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যাগত তালিকায় শীর্ষস্থান ভারতীয়দের…
আরও পড়ুন: Temples in India: প্রাচীন ভারত ছিল উন্মুক্ত ও স্বাধীনচেতা! তার প্রমাণ রয়েছে এই বিখ্যাত মন্দিরগুলিতে…
আরও পড়ুন: Ladakh: পর্যটকদের জন্য সুখবর! এবার লাদাখের সর্বোচ্চ উচ্চতাতেও মিলবে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন