Travel: দু’দিন ছুটি কাটিয়ে আসুন চা বাগানে ঘেরা দুটি অফবিট জায়গা থেকে!
আমরাও আপনার জন্য উত্তরবঙ্গের দুটি অফবিট জায়গার খোঁজ নিয়ে চলে এসেছি। যেখানে গেলে আপনার মন তো ভাল হবেই তার সঙ্গে শরীরও হয়ে উঠবে একদম তরতাজা। তার সঙ্গে চা গাছের গন্ধ আপনাকে মাতিয়ে রাখবে সারাক্ষণ। উত্তরঙ্গের একটি জায়গা হল পুবুং এবং আরেকটি হল রঙ্গারুন।
উত্তরবঙ্গের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে পাহাড়ি গ্রাম। যার মধ্যে কিছু অফবিটের খোঁজ ইতিমধ্যেই বাঙালি পেয়ে গেছে। আর পাবে নাই বা কেন! কাছাকাছি পাহাড়ি ঘুরে যাওয়ার জায়গা বলতে সেই তো উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স আর দার্জিলিং। একথা বলা বাহুল্য যে দিন দিন ঘিঞ্জি হয়ে উঠেছে দার্জিলিং শহর। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই খুঁজে নিতে হচ্ছে অফবিট।
আমরাও আপনার জন্য উত্তরবঙ্গের দুটি অফবিট জায়গার খোঁজ নিয়ে চলে এসেছি। যেখানে গেলে আপনার মন তো ভাল হবেই তার সঙ্গে শরীরও হয়ে উঠবে একদম তরতাজা। তার সঙ্গে চা গাছের গন্ধ আপনাকে মাতিয়ে রাখবে সারাক্ষণ। উত্তরঙ্গের একটি জায়গা হল পুবুং এবং আরেকটি হল রঙ্গারুন।
উত্তরবঙ্গের এই পুবুং খুব একটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি পর্যটকদের কাছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং হাওয়ার পথে ছয় মাইল। এখান থেকে ডান দিকের রাস্তা ধরে এগোলেই পেয়ে যাবেন পুবুং। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এই পুবুং-এর দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। চা বাগানে ঘেরা ছবির মত সুন্দর গ্রাম হল এই পুবুং। চারিদিকে সবুজ চা বাগান এবং তারই মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে অর্কিড ও রঙিন ফুল। পাহাড়ের ধাপে রয়েছে বাড়ি। গোটা গ্রাম জুড়ে অরগ্যানিক ফসলের চাষ হয় এখানে। থাকার জায়গা বলতে একটা দুটো হোমস্টে।
পুবুং থেকে ২ কিলোমিটারের মত গেলেই রয়েছে প্রায় ১০০ বছরের পুরনো সেতু বরবাট। তার ঠিক ওপাশেই রয়েছে রংলিয়ট। সেটাও একটা অফবিট পাহাড়ি গ্রাম। আর এই সেতুর নীচ দিয়ে কুল কুল করে বয়ে চলেছে কালী নদী। যদি হেঁটে ঘুরতে চান তাহলে পুবুং থেকে কালী নদী যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা। আর সেই হাঁটা পথে পাবেন পাহাড়ি পাখির ডাক, রঙিন ফুলের সমাহার। আর তার কাছেই রয়েছে কালিঝোরা, এক পাহাড়ি ঝর্ণা। সুতরাং এই দৃশ্য আপনার মনে জায়গা করে নেবেই।
পুবুংয়ের কাছেই রয়েছে জোড়বাংলো। সেই জোড়বাংলো যাওয়ার পথে তিন মাইল পথ অতিক্রম করে ডান দিকের রাস্তা নিলেই আপনি ঘন অরণ্যের মধ্যে ঢুকে পড়বেন। সেই কোনও জন মানব, নির্জন পথ চলে গিয়েছে সিঞ্চল স্যাংচুয়ারির ভিতরে। সেই জঙ্গল শেষ হতেই বাক্সর মত বাড়ি দিয়ে সাজানো পাহাড়ি গ্রামের দেখা পাবেন। আর সেই গ্রামের নীচেই রয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সবুজ চা বাগান। আর উল্টো দিকে মাথা উঁচু করে নীল আকাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর এই জায়গার নাম রঙ্গারুন। মূলত রঙ্গারুন চা বাগান নামেই এই জায়গা জনপ্রিয়। এখান থেকে টাইগার হিলের দৃশ্যও মনোরম। পুবুংয়ের সঙ্গে এই জায়গার খুব একটা অমিল নেই বললেই চলে। সুতরাং কোলাহল থেকে বাঁচতে এই অফবিটে দুটি অনাহাসে কাটিয়ে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: মুরগুমা সুইসাইড পয়েন্ট — না দেখলেই নয়