মাস্ক না পরে ট্রেনে উঠলেই জরিমানা! দিল্লি-মুম্বই-কেরল যেতে হলে নয়া নির্দেশ রেলের

যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে কি ফের বন্ধ হতে পারে ট্রেন পরিষেবা? এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। ২০২০ সালের আতঙ্ক ফের ঘুরে আসতে চলেছে এই মনে করে অধিকাংশই আতঙ্কিত। রেলের তরফেও নেওয়া হয়েছে কিছু কড়া পদক্ষেপ।

মাস্ক না পরে ট্রেনে উঠলেই জরিমানা! দিল্লি-মুম্বই-কেরল যেতে হলে নয়া নির্দেশ রেলের
Follow Us:
| Updated on: May 06, 2021 | 2:41 AM

সংক্রমণের দ্বিতীয় সুনামি আছড়ে পড়ার পর দেশের মর্মান্তিক পরিস্থিতি দেখে এখন সকলেরই উদ্বেগ বাড়েছে। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যেও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে আংশিক লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরা ও দূরত্ববিধি মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। এদিন থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল সাময়িককালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তেমনই সারা দেশের যাত্রীদের জন্য কোভিড নিয়ম মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতীয় রেলও।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর নতুন করে কয়েকটি নিয়ম চালু করেছে রেল। সেগুলি হল,

-রেল চত্বরে বা ট্রেনে উঠলে যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না পরলে পকেট থেকে গুনতে হবে ৫০০ টাকা। আগামী ৬ মাস ফেস মাস্ক কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

– সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

– রেল চত্বরে থুতু ফেললে দিতে হবে জরিমানা।

– ট্রেনের ভিতর রান্না করা খাবার পরিবেশন করার উপর সাময়িক কালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

– কয়েককটি রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে মৃত্যুমিছিল। দিল্লি ও মুম্বইয়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই এই দুই শহরের মধ্যে ট্রেনে করে যাতায়াত করতে গেলে সঙ্গে রাখতে হবে কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট।

– মহারাষ্ট্রে লোকাল ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী ছাড়া লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করার অনুমতি নেই। তবে তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে সরকারি কর্মচারীর আইডি কার্ড। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের, ল্যাব টেকনিশিয়ানদেরও লোকাল ট্রেনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বাইরে বা লং-ডিসটেন্স ট্রেনে করে যাতায়াত করেছেন, তাঁদের ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্টেশনে ও ট্রেনের অন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা অন্য রাজ্য থেকে এ রাজ্যে এসেছেন, তাঁরা এখনই লোকাল ট্রেনে চাপতে পারবেন না।

– কেরালাতেও উদ্বেগ বাড়িয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ট্রেনে উঠল যাত্রীদের সঙ্গে থাকতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট। অন্যথায় কোভিড টেস্ট সংশ্লিষ্ট স্টেশনেই করিয়ে নিতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে ১৪দিন হোম কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে রেল।

– মহারাষ্ট্র বা কেরল থেকে যে সব যাত্রীরা উত্তরপ্রদেশে ট্রেনে করে যাতায়াত করছেন, তাঁদের কাছে ৭২ ঘন্টা আগে কোভিড টেস্ট রিপোর্ট থাকা আবশ্যিক। কোভিডে বিপর্যস্ত এই দুই রাজ্য থেকে উত্তরপ্রদেশে এলে যাত্রীকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

– অন্য রাজ্য থেকে ছত্তিশগড়ে প্রবেশ করলেই করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নয়তো যাত্রীর সঙ্গে রাখতে হবে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট।

– পঞ্জাব, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্ণাটক, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ থেকে সকল যাত্রীদের সঙ্গে রাখতে হবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট। ট্রেনে যাতায়াত করার প্রায় ৭২ ঘন্টা আগে করা রিপোর্টই এক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে ধার্য করা হয়েছে।