কর্নাটকের মণ্ডলপাত্তি পাহাড়ের শোভা বাড়াচ্ছে নীলাকুরিঞ্জি, ১২ বছরে একবার ফোটে এই ফুল

জানা গিয়েছে, এই নীলাকুরিঞ্জি যথেষ্ট সুখী গাছ। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এই গাছের পরিচর্যা করতে হয়। উপযুক্ত পরিবেশ না হলে এই গাছ বাঁচতে পারে না। তাই সঠিক ভাবে এই গাছের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন।

কর্নাটকের মণ্ডলপাত্তি পাহাড়ের শোভা বাড়াচ্ছে নীলাকুরিঞ্জি, ১২ বছরে একবার ফোটে এই ফুল
কর্নাটকের মণ্ডলপাত্তি পাহাড়ে ফুটেছে এই ফুল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 9:06 AM

কর্নাটকের মণ্ডলপাত্তি পাহাড়ে দীর্ঘদিন পর ফুটেছে নীলাকুরিঞ্জি ফুল। এই ফুলের নাম Strobilanthes kunthiana। কর্নাটকের কোদাগু জেলার মণ্ডলপাত্তি পাহাড়ে এই ফুল ফোটা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ প্রতি ১২ বছরে একবার ফোটে এই নীলাকুরিঞ্জি ফুল। আর এই বছর হল সেই সময়, যখন এই বিশেষ ফুল ফুটেছে। সারা বিশ্বে জুড়ে এখন চলছে এক অস্থির পরিস্থিতি। করোনার দাপটে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে জনজীবনে। কিন্তু তার মধ্যেই এই ফুল ফোটায় খানিকটা মন ভাল হয়েছে কর্নাটকবাসীর। এমনিতেই বলে ফুল যেকোনও খারাপ মুহূর্তেও মন ভাল করে দিতে পারে। আর এখানে তো এমন ফুল ফুটেছে যা ১২ বছরে একবার ফোটে। অতএব এই নীলাকুরিঞ্জি ফুল যে বেশ বিখ্যাত তা বোঝাই গিয়েছে।

পশ্চিমঘাট পর্বতের শোলা ফরেস্টে এক ধরনের গুল্ম জাতীয় খাছ পাওয়া যায়। সেই গাছেই এই নীলাকুরিঞ্জি ফুল ফোটে। মূলত কেরল, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে এই বিশেষ ফুলের সমারোহ দেখা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল নীলগিরি পর্বতের নামকরণ হয়েছে এই নীলাকুরিঞ্জি ফুলের নাম অনুসারেই। নীল এবং বেগুনি রঙে প্রস্ফুটিত হয় এই ফুল। আর তাই এর থেকে পাহাড়ের নাম হয়েছে নীলগিরি, যার অর্থ নীল পাহাড়। ১৩০০ থেকে ২৪০০ মিটার উচ্চতায় এই কুরিঞ্জি ফুল ভালভাবে ফুটতে পারে। যখন এই গুল্ম গাছের উচ্চতা ৩০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার হয়, তখনই ফুল ফোটে ওই গাছে। তবে এই গুল্ম গাছ ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

জানা গিয়েছে, এই নীলাকুরিঞ্জি যথেষ্ট সুখী গাছ। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এই গাছের পরিচর্যা করতে হয়। উপযুক্ত পরিবেশ না হলে এই গাছ বাঁচতে পারে না। তাই সঠিক ভাবে এই গাছের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। এই নীলকুরিঞ্জি গাছ আসলে genus Strobilanthes গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। উনিশ শতকে এই উদ্ভিত প্রজাতির আবিষ্কর্তা ছিলেন জার্মানির বোটানিস্ট (উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ) Christian Gottfried Daniel Nees von Esenbeck। জানা গিয়েছে,  genus- এর মধ্যে অন্তত ২৫০ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ ধরনের গুল্ম কেবলমাত্র ভারতেই রয়েছে। নীলাকুরিঞ্জি জাতীয় ফুলের ক্ষেত্রে অদ্ভুত ধরনের ফ্লাওয়ারিং বিহেভিয়ার লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে বার্ষিক ফুল ফোটার সময়টাই আসে ১৬ বছর পরে। তবে এবার কর্নাটকের কোদাগু জেলার মণ্ডলপাত্তি পাহাড়ে ১২ বছর পর এই নীলাকুরিঞ্জি ফুল ফুটেছে।

গত সপ্তাহ থেকে এই ফুল ফোটা শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও অনেক পাহাড়েই ছেয়ে যাবে এই নীলাচে-বেগুনি ফুল। জানা গিয়েছে, এই নীলাকুরিঞ্জি ফুলে রয়েছে অনেক ভেষজ গুণও। অর্থাৎ চিকিৎসার কাজে নানা ভাবে এই ফুল লাগতে পারে।

আরও পড়ুন- Kerala Tourism: পর্যটক বাড়াতে কেরালা সরকারের নতুন উদ্যোগ!