Kolkata: বিকালের আড্ডা জুমুক গঙ্গাপাড়ে; শহরের ফেরিঘাটে তৈরি হচ্ছে রুফটপ ক্যাফে
Ferry Ghat: নিচে টিকিট কাউন্টার, উপরে রেস্তোরাঁ। গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চুমুক দিতে পারবেন কফিতে।
গ্রীষ্মের বিকালে আড্ডা জমে ওঠে গঙ্গার পাড়ে। সঙ্গী থাকে লেবু চা আর ঘটি গরম। চোখের পলকে জোয়ার চলে যায়। সূর্য ডুব দেয়। ফেরিঘাটের জাহাজের ব্যস্ততা জানান দেয় সন্ধ্যে হয়েছে। এবার গঙ্গাপাড়ের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন রুফটপ ক্যাফেতে বসে। কলকাতা ও শহরতলির ফেরিঘাটগুলো সেজে উঠছে ক্যাফেটেরিয়ায়।
নিচে টিকিট কাউন্টার, উপরে রেস্তোরাঁ। গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চুমুক দিতে পারবেন কফিতে। বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় শহরের গঙ্গাপাড়ের ফেরিঘাটগুলো সেজে উঠছে ক্যাফেটেরিয়াতে। পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে শহর ও শহরতলির ২৬টি ফেরিঘাটকে সাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে মিলেনিয়াম পার্ক, ফেয়ারলি কমপ্লেক্স, চাঁদপাল, রামকৃষ্ণপুর ঘাট, বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর, চন্দননগর ইত্যাদি। তবে দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় মঠ ফেরিঘাটে রেস্তোরাঁর সুবিধা থাকছে না।
যদিও শুধু রুফটপ ক্যাফেতে আবদ্ধ নেই এই আধুনিকীকরণ। ফেরিঘাটের চারপাশ সাজছে সবুজে। যাত্রীদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। ফেরিঘাটের দোতলায় হবে এই রেস্তোরাঁ। পাশাপাশি এই ফেরিঘাটগুলোতে বসতে চলেছে ট্রান্সটাইল গেট। টিকিট কাউন্টারও থাকবে। পাশাপাশি স্মার্ট কার্ড ও কিউআর কোডও ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। এই স্মার্ট কার্ড ফেরি ছাড়াও বাসে, ট্রামে এমনকী মেট্রোতে ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।
ইতিমধ্যেই ফেয়ারলি কমপ্লেক্স এবং হাওড়ার ফেরিঘাটে ট্রান্সটাইল গেট বসানো রয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জলপথ পরিবহণ। এতে সাধারণ যাত্রীরা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি মেনে তৈরি করা হবে এই ঘাটগুলো। হাল ফেরানো হবে এই ২৬টি ফেরিঘাটের। তৈরি করা হবে লোহার জেটি।
আশা করা হচ্ছে এই আধুনিকীকরণের জন্য যাত্রীদের আকর্ষণ কাড়বে ফেরিঘাটগুলো। এবার গঙ্গার সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আপনি উপভোগ করতে পারেন কফি। পাশাপাশি ভেসেলে চড়ে যাওয়ার সময়ও উপভোগ করতে পারেন এই সব রেস্তোরাঁর কফি ও খাবার।