Jammu & Kashmir: আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য নয়া ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার!
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বর মাসে কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন প্রায় ১, ২৭, ৬০৫ জন পর্যটক। অক্টোবর মাসে পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৭ হাজারেরও বেশি।
শীতের মরসুম মানেই ভ্রমণের মরসুম। এই মরসুমে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বর মাসে কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন প্রায় ১, ২৭, ৬০৫ জন পর্যটক। অক্টোবর মাসে পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৭ হাজারেরও বেশি। এই সংখ্যা গত সাত বছরের সব রেকর্ড পিছনে ফেলে এবছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় করেছন কাশ্মীর উপত্যকায়।
এখন এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য একটি ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করেছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে ভ্রমণকারীরা শ্রীনগর বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনের অধীনে যেতে হবে।
ভ্রমণ উপদেষ্টা অনুসারে, এই হোম কোয়ারেন্টাইন সাত দিন স্থায়ী হবে, আট দিনের পরে একটি ফলো আপ কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সহ। ভ্রমণকারীদের কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য নিজেদের পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিরোধ ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-টিকাকরণের নিয়ম প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপরন্তু, ভ্রমণকারীরা যারা কোভিড পরীক্ষা করাবেন এবং পজিটিভ রেজাল্ট এলে, তাঁদের একটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পাঠানো হবে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে।
সরকারী নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “এমওএইচএফডব্লিউ (MoHFW) কর্তৃক সময়ে সময়ে জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আগমনের জন্য শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কঠোর স্ক্রিনিং এবং ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক করা হবে।”
জম্মু ও কাশ্মীরে শুক্রবার ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা ১৬০০০ যাত্রীর জন্য আরটি-পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করেছে, এবং মোট ১৮টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে যাতে তাঁরা ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের কিনা তা পরীক্ষা করা যায়।
প্রসঙ্গত শীতের মরসুমে এই কেন্দ্রশাসিত এলাকায় পর্যটনের জোয়ার টানতে সরকারি বিভিন্ন উত্সবের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নভেম্বর মাসে প্রায় ১, ২৭ হাজার পর্যটক এসেছেন ও অক্টোবরে প্রায় ৯৩হাজার পর্যটকের আগমন হয়েছিল। আর এই সংখ্যার রেকর্ড এই প্রথম। গত সাতবছরে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এত বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেননি। কিন্তু ওমিক্রনের প্রকোপের কারণে কড়া নির্দেশিকা জারি করছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার।
COVID-19-এর দ্বিতীয় তরঙ্গের পরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা সহ কাশ্মীরে পর্যটনকে উন্নীত করার জন্য দেশে ২১টি রোডশো প্রচার চালানোর ফল বলে মনে করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শরৎ মরসুমের রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আকর্ষণের পর এবার শীতের মরসুম নিয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস, বড়দিন, স্নোকার্নিভাল, নববর্ষকে সামনে রেখে আরও নয়া পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরলতা আজও ধরা দেয় এই আলমোড়ার পাহাড়ে! মন পড়ে থাকে রানির দেশে