Retail Inflation Rate: ফের ধাক্কা সাধারণ মানুষের! মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়ল ৫.৫৯ শতাংশ

Retail Inflation Rate: শিল্প উৎপাদন সূচকে (IIP) বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত আধিকারিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বর ২০২০-তে শিল্প উৎপাদন ১.৬ শতাংশ কমেছিল। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস দ্বারা প্রকাশিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইনডেক্স পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর নভেম্বরে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রের প্রোডাকশন ০.৯ শতাংশ বেড়েছে।

Retail Inflation Rate: ফের ধাক্কা সাধারণ মানুষের! মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়ল ৫.৫৯ শতাংশ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2022 | 9:01 PM

নয়া দিল্লি: ক্রমবৃদ্ধিমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এর থেকে স্বস্তি পাওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে না। বুধবার প্রকাশ হওয়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার (Retail Inflation) বেড়ে ৫.৫৯ শতাংশে পৌঁছেছে। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। খাদ্য পণ্যের বেড়ে চলা দামের কারণে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার নভেম্বরের ৪.৯১ শতাংশ থেকে ডিসেম্বরে ৫.৫৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।

উপভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) নির্ভর খুচরো মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বর ২০২১ এ ৪.৯১ শতাংশ আর ডিসেম্বর ২০২০-তে ছিল ৪.৫৯ শতাংশ। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (NSO) দ্বারা প্রাকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৪.০৫ শতাংশ হয়েছিল যা এর আগের মাসে ছিল ১.৮৭ শতাংশ।

IIP-তে ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বিমাসিক মুদ্রা সমীক্ষায় প্রধানত খুচরো মূল্যবৃদ্ধি হারের পরিসংখ্যানকে লক্ষ্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মতে, প্রতিকূল প্রভাবের কারণে আর্থিক বছরের বাকি সময় মুদ্রাস্ফীতি উপরের দিকে থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে সমস্ত মুদ্রাস্ফীতি নিজের সর্বোচ্চ স্তরে থাকবে। এরপর থেকে এটি নিচের দিকে নামবে।

অন্যদিকে শিল্প উৎপাদন সূচকে (IIP) বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত আধিকারিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বর ২০২০-তে শিল্প উৎপাদন ১.৬ শতাংশ কমেছিল। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস দ্বারা প্রকাশিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইনডেক্স পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর নভেম্বরে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রের প্রোডাকশন ০.৯ শতাংশ বেড়েছে।

করোনার কারণে প্রভাবিত হয়েছে শিল্প উৎপাদন

নভেম্বর ২০২১ এ খনি উৎপাদন পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২.১ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। নভেম্বর ২০২০-তে IIP ১.৬ শতাংশ কমেছিল। চলতি অর্থবছরে এপ্রিল-নভেম্বরে আআপি ১৭.৪ শতাংশ বেড়েছে অন্যদিকে গত বছর এই সময় পর্যন্ত ১৫.৩ শতাংশ কমেছিল।

বিশ্বজোড়া করোনা মহামারি সংক্রমণে ভারতে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই শিল্প উৎপাদন প্রভাবিত হয়েছিল। গত বছর যখন লকডাউনের পর পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছিল, তখন এতে ১৮.৭ শতাংশ হ্রাস দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এপ্রিল ২০২০-তে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রসার আটকাতে লকডাউন করার কারণে আর্থিক গতিবিধি সম্পূর্ণ থেমে গিয়েছিল, সেই সময় আইআইপি-তে ৫৭.৩ শতাংশ হ্রাস দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: ২০ শতাংশ দাম বাড়ল সাবান এবং ডিটারজেন্টের, HUL বাড়াল দাম