শীত এলেই গাঁটের ব্যথা বাড়তে থাকে। আর শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করলে সেই গাঁটের ব্যথাই গাউট হিসেবে প্রকাশ পায় শরীরে। আর যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড জমে তা হলে তা কিডনিতে স্টোনের আকার ধারণ করে। এই সমস্যা এড়াতে আপনি মরশুমি ফলের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
শীতের ডায়েটে প্রতিদিন আপেল রাখুন। আপেলের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আপেল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
শীতের বাজারে আমলকি ছেয়ে গিয়েছে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ আমলকি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
এই মরশুমে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফল সহজেই পাওয়া যায়। এই বেরি জাতীয় ফলগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়। এই ফল খেলে গাউটের ব্যথা এবং জয়েন্টের ফোলাভাব কমতে পারে।
শীত মানেই কমলালেবুর মরশুম। কমলালেবুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার রয়েছে। এই দুটো উপাদানই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফল ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে।
এই শীতে ব্রকোলি, টমেটো, কুমড়োর মতো আনাজগুলো বেশি করে খান। এই ধরনের খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টি রয়েছে। পাশাপাশি এই সব খাবারে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।