ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে তা প্রাথমিকভাবে ফল দেখালেও, একটা সময়ের পর সেই খাবার খেতে আর ভালো লাগবে না। একঘেয়েমি চলে আসবে। তখন আরও সমস্যা হবে। ফলস্বরূপ, মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে যা তাঁদের ওজন বাড়াতে পারে।
যদি আপনি আপনার খাবারে কার্বস, প্রোটিন বা চর্বি এড়িয়ে চলেন, তাহলে এই ভুল করবেন না। এই কার্বস, প্রোটিন, চর্বি প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। তাই পরিমাণ বুঝে সব ধরনের খাবার খান।
ওজন কমানোর জন্য শরীরকে চমক দিতে হবে। একঘেয়ে খাবার খেয়ে খেয়ে আপনার ওজন কমলেও, খাবারের ইচ্ছে থাকে না। এতে আদতে শরীরেরই ক্ষতি হয়। নতুন নতুন ডায়েট চার্ট মেনে চলা জরুরি। এর জন্য আপনি পুষ্টিবিদের সাহায্যও নিতে পারেন।
স্ন্যাক্স খাওয়া সব সময়ই উপাদেয়। অল্প সময়ের জন্য আপনার খিদে কমিয়ে দিতে পারে এই স্ন্যাক্স। কিন্তু, কতটা স্ন্যাক্স খাবেন আর কী কী স্ন্যাক্স খাবেন সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, কারণ অতিরিক্ত স্ন্যাক্স আপনার ওজন প্রচুর বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুগার জাতীয় বা অতিরিক্ত প্রসেসড স্ন্যাক্সগুলি পারলে এড়িয়ে চলুন।
যদি আপনি মনে করেন যে আপনি জিমে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে বা বেশ কিছুটা দৌড়ে নিয়ে ওজন কমিয়ে ফেলেছেন, তাহলে ভুল করছেন। ব্যায়াম যদি আপনার ওজন কমানোর গতি বাড়িয়ে তুলছে বলে মনে করেন, তবে মাথায় রাখবেন, ডায়েটের একটা বড় অংশ কাজ করছে তার পেছনে।
অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা যদি ঘুম না হয় তবে তা আপনার ওজন কমানোর পদ্ধতিতে বাধা দেবে। কম ঘুম আপনার হজমকে প্রভাবিত করে। এতে বদহজম, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ও সুস্থ থাকতে ঘুম খুব জরুরি।
নিজেকে মানসিক ভাবে সুস্থ রাখুন সবার আগে। এমন যাতে কখনই না হয় যে ডায়েট আর শরীরচর্চা এসবের মাঝে আপনি বিসাদে ভুগতে শুরু করেছেন। মনে রাখবেন, দিনের শেষে আপনার সন্তুষ্ট থাকার ওপরেই আপনার সুস্থ থাকাটা বেশ কিছুটা নির্ভর করে থাকে।