ত্বকের পরিচর্যা ও যত্নে নানা ভাবে কাজে লাগে চন্দন। তেল হোক বা গুঁড়ো কিংবা শুকনো পাউডার- রূপচর্চায় চন্দনের গুরুত্ব অনেক। চলুন দেখে নেওয়া যাক ত্বকের কোন কোন সমস্যা নিমেষে দূর করে চন্দন।
চন্দন পাউডার বা গুঁড়োয় রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিক্সডেন্ট যা বলিরেখা বা অ্যান্টি এজিং রুখতে সাহায্যে করে। এর জন্য চন্দন তেলের সঙ্গে সামান্য মধু আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে একটা ফেসপ্যাক বানিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন মুখে লাগান। প্যাক লাগানোর পর ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার ঠাণ্ডা জলে মুখে ধুয়ে নিতে হবে।
চন্দন তেল শুধু বলিরেখা রুখতে নয়, ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যায় নিমেষে দূর করে দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হল ব্রনর সমস্যা। যাদের ত্বক খুব তেলতেলে তারা বেশি ব্রনর সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে মুগে দাগ ছোপ তৈরি হয়। ওইসব দাগের উপর সামান্য চন্দনের গুঁড়ো জলে মিশিয়ে বা চন্দন বাটা লাগালে উপকার পাওয়া সম্ভব। এছাড়া ব্রনর উপরেও চন্দনের প্রলেপ দিলে তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করে ত্বকের জেলা ফেরাতে কাজে লাগে চন্দন তেল। মুখে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে অল্প দিনেই হানাতে ফল পাবেন আপনি। শুধু তাই নয় ট্যানের সমস্যা, ডার্ক সাকেল, মেচেতা- এইসব দূর করতেও চন্দন অপরিহার্য।
চন্দন বাটা দিয়ে ফেসপ্যাকের পাশাপাশি ঘরোয়া স্ক্রাবও তৈরি করা যায়। চন্দন মেশানো প্যাক দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের মরা কোষ ঝরে গিয়ে ঔজ্জ্বল্য ফিরতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে নিয়মিত ধৈর্য ধরে রূপচর্চা করতে হবে।
গরমকালে ঘামাচি কিংবা বিভিন্ন র্যাশের ফলে ত্বকে যে লালচে দাগ হয় তা দূর করতে এবং জ্বালাপোড়া ভাব থেকে আরাম দিতে চন্দন কাজে লাগে। এছাড়াও যাঁদের এগজিমার সমস্যা রয়েছে তাঁরা চন্দন লাগালে উপকার পাবেন।
ত্বকের বলিরেখা এবং দাগছোপ দূর করে জেল্লা ফেরানোর পাশাপাশি ত্বক মিশ্রণ এবং কোমল করতেও সাহায্য করে চন্দন।