শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সবসময়ের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। সকালের সূর্যের তাপ আর বেলা ১২টার তেজ কখনও এক নয়। তবে সকালে, দুপুরে, যখনই বাড়ির বাইরে বের হন না কেন, তখনই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে ও ত্বককে মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন একটি অপরিহার্য উপকরণ। বাজারচলতি অনেক নামী-দামি লোশন ও ক্রিম পাওয়া যায়। তবে সেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচানো সম্ভব।
অ্যালোভেরা: ত্বকের সব রকম সমস্যার মোক্ষম উপাদান হল অ্যালোভেরা। গরম ও রুক্ষ ত্বককে নরম ও মসৃণ করে শান্ত করতে অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ কাজে লাগতে পারে। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ক্রিমের বিকল্প হিসেবে অ্যালোভেরা হল সেরা উপাদান।
নারকেল তেল: সূর্যালোক থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিনের আরও একটি বিকল্প হল নারকেল তেল। ট্যানিংয়ের সম্ভাবনা দূর করতে ও ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এর গুণের শেষ নেই। এছাড়া রোদে পুড়ে ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে ও ইউভি রশ্মির ক্ষতি রোধ করতে নারকেল তেল ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
তিল তেল: তিলের তেল ব্য়বহার করলে ত্বক থাকে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করতে ও রোদে পোড়ার সম্ভাবনাও আটকে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে রোদে থাকলে প্রতি ঘণ্টায় তিলের তেল প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাবেন।
বিভিন্ন রকম বাদাম তেল: চিনাবাদাম তেল, জোজোবা তেল, শিয়া বীজের মাখন, অলিভ অয়েল. অ্যাভোকাডো তেল-সহ অন্য়ান্য বীজ ও তেল সানস্ক্রিনের বিকল্প একটি উপাদান।
বাড়ির বাইরে বের হলেই সানস্ক্রিন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কোন পোশাক পড়ছেন তা দেখাও জরুরি। শীতকালে ফুলস্লিভ পোশাক পরা হয়, কিন্তু গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি ট্যান পড়ে ত্বকে। জ্বালাভাবও ধরে। তাই এই সমস্যা আটকাতে ও আরাম পেতে হালকা রঙের পোশাক পরা উচিত।
প্রাকৃতিকভাবে ফিট ও সুস্থ থাকে স্বাস্থ্য়কর ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। গরম ও সূর্যের তাপ থেকে নিজের রক্ষা করতে এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। পুষ্টিকর সমৃদ্ধ ফল, সবজি, ও মেগা ফ্যাটি অ্য়াসিডযুক্ত খাবার ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।