ক্যাসিয়া অ্যাবসাস নামে পরিচিত চাকসু বীজ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। চিয়া বীজ, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজের মতোই চাকসু বীজ অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই বীজের গুণাগুণ।
স্বাদে তেঁতো হলেও উপকারিতার দিক দিয়ে চাকসু বীজের জুড়ি মেলা ভার। হিমালয়ের পাদদেশে এই চাকসু বীজ চাষ করা হয়। প্রথমে এই বীজকে গুঁড়ো করতে হয়, তারপর সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে পান করতে হয়।
চাকসু বীজের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি এতে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যালকালয়েড ও স্টেরলের মতো ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চাকসু বীজে উপস্থিত লিনোলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই চাকসু বীজ খেতে পারেন।। তাছাড়া এই বীজের মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
চাকসু বীজের মধ্যে থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চাকসু বীজ ভেজানো জল পান করলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। এই বীজ অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের রোগীরাও এই চাকসু বীজ খেতে পারেন। এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চাকসু বীজ। আপনি চাকসু বীজকে গুঁড়ো করে এর কাড়া বানিয়েও পান করতে পারেন।