আমাদের সমাজে প্রাচীনকাল থেকেই বহু বিশ্বাস চলে আসছে। এই বিশ্বাসগুলি এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছে সেগুলি কেবল বিশ্বাস করা হয়। তাদের পেছনের গল্প বা যুক্তি খুঁজলেও হয়তো পাওয়া যাবে না।
একই রকম বিশ্বাস আছে যে কুকুরের কান্না খারাপ। এটা অশুভ লক্ষণ। বলা হয, কুকুরের কান্না মানেই আসন্ন সময়ে কারোর মৃত্যুর পূর্বাভাস। এমন কথা শোনার পর যে কেউ ভয় পেয়ে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক।
জ্যোতিষ মতে, কুকুররা সবচেয়ে বেশি কাঁদে যখন তাদের চারপাশে একটি আত্মা ঘোরাফেরা করে থাকে। অর্থাৎ যে আত্মাকে সাধারণ মানুষ দেখতে পায় না, তাকে দেখে কুকুর কাঁদতে শুরু করে। এই কারণেই মানুষ চারপাশে কুকুরদের কান্না শুনবেই তাদের তাড়িয়ে দিতে শুরু করে।
বিশ্বাস এবং জ্যোতিষীদের বাইরেও রয়েছে আরও একটি জগত। সেটি হল বিজ্ঞান। প্রথমত, কুকুর কাঁদে না। তারা চিৎকার করে।
আসলে রাতের বেলা এমন কান্নার মত আওয়াজ করে তারা রাস্তা বা এলাকায় দূরের অন্য সঙ্গীদের কাছে বার্তা পাঠায়। রাতেরবেলায় কোথায় আছে, তা জানান দিতেই এই 'কান্না'।
সারমেয়রা সাধারণত নিরীহ ও অবলা প্রাণী। তাই, তারাও আঘাত পায়। মানসিক ও শারীরিক, উভয় কষ্টই আছে।
এমন পরিস্থিতিতেও কুকুর কান্নাকাটি করে। এভাবে দূরে কোথাও কোনও সঙ্গীকে ডাকলে এমন শব্দ বের করে। সে তার সঙ্গীদের ডাকে তার কাছে।
মানুষের মতো কুকুররাও একা থাকতে পছন্দ করে না। এই কারণেই যখনই তারা একাকীত্ব বোধ করে, সঙ্গীদের ডাকতে চিৎকার করে।