AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Oral Hygiene: মুখ খুললেই ‘স্বর্গীয়’ সুবাসে ভরে যাবে চারপাশ! মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে করুন এই ৭ কাজ

Bad Breath: অবাক হবেন, আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন কিছু উপায় যা মেনে চললে মুখের গন্ধ তো দূর হবেই, এমনকী লোকে যেচে কথা বলতে এগিয়ে আসবে!

| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 4:04 PM
Share
অনেকেই আছেন যাঁরা মুখ খুললেই দুর্গন্ধ বেরয়। ফলে কেউ আর ওই লোকের কাছে ঘেষতে চান না! তবে জানলে অবাক হবেন, আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন কিছু উপায় যা মেনে চললে মুখের গন্ধ তো দূর হবেই, এমনকী লোকে যেচে কথা বলতে এগিয়ে আসবে!

অনেকেই আছেন যাঁরা মুখ খুললেই দুর্গন্ধ বেরয়। ফলে কেউ আর ওই লোকের কাছে ঘেষতে চান না! তবে জানলে অবাক হবেন, আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন কিছু উপায় যা মেনে চললে মুখের গন্ধ তো দূর হবেই, এমনকী লোকে যেচে কথা বলতে এগিয়ে আসবে!

1 / 11
মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর করা শুধু যে স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী তা নয়। তার সঙ্গে মুখের গন্ধ আমাদের ব্যক্তিত্বের উপরেও প্রভাব ফেলে। মুখ থেকে সুগন্ধ বেরলে তা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বও উন্নত করে। তাছাড়া আপনি মুখ খুললেই যদি আপনার সহকর্মীরা পালিয়ে যায় তাহলে তা আপনার কেরিয়ারের উন্নতির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকী মুখের দুর্গন্ধের জন্য পরিবারের লোকও দূরে সরে যেতে পারে!

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর করা শুধু যে স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী তা নয়। তার সঙ্গে মুখের গন্ধ আমাদের ব্যক্তিত্বের উপরেও প্রভাব ফেলে। মুখ থেকে সুগন্ধ বেরলে তা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বও উন্নত করে। তাছাড়া আপনি মুখ খুললেই যদি আপনার সহকর্মীরা পালিয়ে যায় তাহলে তা আপনার কেরিয়ারের উন্নতির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকী মুখের দুর্গন্ধের জন্য পরিবারের লোকও দূরে সরে যেতে পারে!

2 / 11
এখানেই শেষ নয়। মুখ গহ্বরের দুর্গন্ধ বেরনো আসলে দুর্বল স্বাস্থ্যের প্রতিও ইঙ্গিত দেয়। মুখ থেকে কটু গন্ধ বেরলে তা দাঁতের ক্যাভিটিতে খাদ্য জমে পচে যাওয়ার সমস্যার দিকে যেমন নির্দেশ করে তেমনই মাড়ির নানাবিধ রোগের দিকেও ইঙ্গিত দেয়।

এখানেই শেষ নয়। মুখ গহ্বরের দুর্গন্ধ বেরনো আসলে দুর্বল স্বাস্থ্যের প্রতিও ইঙ্গিত দেয়। মুখ থেকে কটু গন্ধ বেরলে তা দাঁতের ক্যাভিটিতে খাদ্য জমে পচে যাওয়ার সমস্যার দিকে যেমন নির্দেশ করে তেমনই মাড়ির নানাবিধ রোগের দিকেও ইঙ্গিত দেয়।

3 / 11
আবার নানা অন্তর্নিহিত রোগেও শ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বেরতে পারে। উদাহরণ হিসেবে গলার নানা সংক্রমণ, সাইনুসাইটিস, পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল আলসার, অম্বল, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের সমস্যার কথা বলা যায়। শ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে তাই মেনে চলুন সাধারণ কিছু টিপস।

আবার নানা অন্তর্নিহিত রোগেও শ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বেরতে পারে। উদাহরণ হিসেবে গলার নানা সংক্রমণ, সাইনুসাইটিস, পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল আলসার, অম্বল, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের সমস্যার কথা বলা যায়। শ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে তাই মেনে চলুন সাধারণ কিছু টিপস।

4 / 11
দু’বার ব্রাশ: দন্তরোগ বিশেষজ্ঞরা দিনে দু’বার ব্রাশ করার পক্ষে সওয়াল করেন। দাঁতের উপরিভাগ পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ করার উপযুক্ত কৌশলও জানা উচিত। আর হ্যাঁ, শুধু দাঁতের উপরিভাগ নয়, মাড়ির রেখা এবং আপনার দাঁতের পিছনের অংশেও ব্রাশ বোলাতে হবে। শুধু ব্রাশ করলেই হবে না, তার সঙ্গে পরিষ্কার রাখতে হবে জিভ।

দু’বার ব্রাশ: দন্তরোগ বিশেষজ্ঞরা দিনে দু’বার ব্রাশ করার পক্ষে সওয়াল করেন। দাঁতের উপরিভাগ পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ করার উপযুক্ত কৌশলও জানা উচিত। আর হ্যাঁ, শুধু দাঁতের উপরিভাগ নয়, মাড়ির রেখা এবং আপনার দাঁতের পিছনের অংশেও ব্রাশ বোলাতে হবে। শুধু ব্রাশ করলেই হবে না, তার সঙ্গে পরিষ্কার রাখতে হবে জিভ।

5 / 11
ফ্লসিং আবশ্যক: ব্রাশ করাই যথেষ্ট নয়। ফ্লস ব্যবহার করাও জরুরি। কারণ অনেকেই জানেন না যে দাঁতের সরু ফাঁকে ব্রাশের ব্রিসলস পৌঁছাতে পারে না। অতএব, প্রতিদিন ব্রাশ করার পাশাপাশি ফ্লস করলে দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও খাবার সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। শ্বাসের দুর্গন্ধ থেকেও মেলে মুক্তি। কারণ শ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য ও সেই খাদ্যের সাহায্যে বংশবৃদ্ধি করা ব্যাকটেরিয়া।

ফ্লসিং আবশ্যক: ব্রাশ করাই যথেষ্ট নয়। ফ্লস ব্যবহার করাও জরুরি। কারণ অনেকেই জানেন না যে দাঁতের সরু ফাঁকে ব্রাশের ব্রিসলস পৌঁছাতে পারে না। অতএব, প্রতিদিন ব্রাশ করার পাশাপাশি ফ্লস করলে দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও খাবার সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। শ্বাসের দুর্গন্ধ থেকেও মেলে মুক্তি। কারণ শ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য ও সেই খাদ্যের সাহায্যে বংশবৃদ্ধি করা ব্যাকটেরিয়া।

6 / 11
মুখ শুকনো রাখবেন না: মুখের লালা আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মুখগহ্বরে লালা তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে হ্যালিটোসিস বা শ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা তৈরি হয়। আসলে, মুখগহ্বরে থাকা ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় করে। মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয়। লালা এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মুখে লালার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে তাই নিয়মিত সুগার ফ্রি চ্যুইয়গাম চিবোন। মুখ শুষ্ক হবে না।

মুখ শুকনো রাখবেন না: মুখের লালা আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মুখগহ্বরে লালা তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে হ্যালিটোসিস বা শ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা তৈরি হয়। আসলে, মুখগহ্বরে থাকা ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় করে। মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয়। লালা এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মুখে লালার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে তাই নিয়মিত সুগার ফ্রি চ্যুইয়গাম চিবোন। মুখ শুষ্ক হবে না।

7 / 11
ধূমপান এবং তামাক সেবন ত্যাগ: ধূমপান এবং তামাক সেবনের অভ্যেস ভয়ঙ্করভাবে দাঁতের ক্ষতি করে। দাঁতের গুণগত মান নষ্ট করে তামাক। মুখেও ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ হয়। তামাক ব্যবহারের কারণে মুখগহ্বরে লালা তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। মুখগহ্বর শুকিয়ে যায়। ফলে মুখ থেকে বাজে গন্ধ বেরয়।

ধূমপান এবং তামাক সেবন ত্যাগ: ধূমপান এবং তামাক সেবনের অভ্যেস ভয়ঙ্করভাবে দাঁতের ক্ষতি করে। দাঁতের গুণগত মান নষ্ট করে তামাক। মুখেও ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ হয়। তামাক ব্যবহারের কারণে মুখগহ্বরে লালা তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। মুখগহ্বর শুকিয়ে যায়। ফলে মুখ থেকে বাজে গন্ধ বেরয়।

8 / 11
জল পান: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল পান করুন। দেহে জলের অভাব ঘটলেও মুখগহ্বরের অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্যে অভাব ঘটে। এর ফলেও দেখা দিতে পারে শ্বাসে দুর্গন্ধ। সময়ে সময়ে জল পান করলে, মুখে আটকে থাকা খাদ্যও জলের সঙ্গে পেটে চলে যায়। মুখগহ্বর থাকে পরিষ্কার। ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি থমকে যায়। এছাড়া মিষ্টি,চা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার মিনিট পনেরো পর মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধুতে না পারলে জল পান করতে পারেন অল্প অল্প। তাতেও মুখগহ্বর পরিষ্কার থাকবে। দূরে থাকবে শ্বাসের দুর্গন্ধও।

জল পান: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল পান করুন। দেহে জলের অভাব ঘটলেও মুখগহ্বরের অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্যে অভাব ঘটে। এর ফলেও দেখা দিতে পারে শ্বাসে দুর্গন্ধ। সময়ে সময়ে জল পান করলে, মুখে আটকে থাকা খাদ্যও জলের সঙ্গে পেটে চলে যায়। মুখগহ্বর থাকে পরিষ্কার। ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি থমকে যায়। এছাড়া মিষ্টি,চা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার মিনিট পনেরো পর মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধুতে না পারলে জল পান করতে পারেন অল্প অল্প। তাতেও মুখগহ্বর পরিষ্কার থাকবে। দূরে থাকবে শ্বাসের দুর্গন্ধও।

9 / 11
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: বেশ কিছু রোগের মূল কারণ হল অস্বাস্থ্যকর ডায়েট । অস্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন চিপস, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস, জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যেস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার সঙ্গে মুখগহ্বরের হালও খারাপ করে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণের দিকে নজর দিন। খাদ্যতালিকায় রাখুন মরশুমি ফল, শাকসব্জি। কারণ শাকসব্জি ও ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ যা নানা রোগ প্রতিরোধ করে। হজমশক্তিও বাড়ায়। ফলে মুখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য: বেশ কিছু রোগের মূল কারণ হল অস্বাস্থ্যকর ডায়েট । অস্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন চিপস, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস, জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যেস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার সঙ্গে মুখগহ্বরের হালও খারাপ করে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণের দিকে নজর দিন। খাদ্যতালিকায় রাখুন মরশুমি ফল, শাকসব্জি। কারণ শাকসব্জি ও ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ যা নানা রোগ প্রতিরোধ করে। হজমশক্তিও বাড়ায়। ফলে মুখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

10 / 11
 ভিটামিন সি: নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত নানা ফল খান। উদাহরণ হিসেবে পাতিলেবু, কমলালেবু, মুসাম্বির কথা বলা যায়। এই ধরনের ফলে থাকা ভিটামিন সি মুখগহ্বরের স্কার্ভি রোগ দূরে রাখে। ফলে মুখে দুর্গন্ধও হয় না।

ভিটামিন সি: নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত নানা ফল খান। উদাহরণ হিসেবে পাতিলেবু, কমলালেবু, মুসাম্বির কথা বলা যায়। এই ধরনের ফলে থাকা ভিটামিন সি মুখগহ্বরের স্কার্ভি রোগ দূরে রাখে। ফলে মুখে দুর্গন্ধও হয় না।

11 / 11