কোলেস্টেরল, পেটের কথা ভেবে এখন অনেকেই স্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে রান্না সারেন। সেই তালিকায় রয়েছে সূর্যমুখীর তেল। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে যদিও সূর্যমুখীর বীজও জনপ্রিয়। কিন্তু ত্বকের ক্ষেত্রে সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করার কথা কি জানেন?
মুখে অনেকেই তেল মাখতে চান না। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশে আপনি তেল মাখতে পারেন। আর এর জন্য আপনি সূর্যমুখীর তেল বেছে নিতে পারেন।
যে তেল দিয়ে লুচি ভাজা নয়, সেই সূর্যমুখী তেলই যেন আবার ব্যবহার করবেন না। ত্বকের জন্য আলাদা পদ্ধতিতে সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল নিস্কাশন করা হয়। এই তেল অন্যান্য বডি অয়েলের চেয়ে অনেক বেশি হালকা হয়।
সূর্যমুখীর তেলে লিনোলাইক অ্যাসিড নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের মেলোনিন উৎপাদন কমায়। সুতরাং, রোদে পোড়ার দাগ, ট্যান সব দূর করে যাবে সূর্যমুখীর তেল মাখলে।
সূর্যমুখীর তেলের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে। এটি ত্বককে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এতে শীতে শুষ্ক ত্বকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
মৃত কোষ দূর করতে সূর্যমুখীর তেল দারুণ সহায়ক। ব্রণ, র্যাশ, ব্ল্যাকহেডস, ওয়াইটহেডস, বলিরেখার মতো একাধিক ত্বকের সমস্যাও দূর করে সূর্যমুখীর তেল। ত্বকের যে কোনও ক্ষতের উপর এই তেল মাখা যায়।
আপনি চাইলে মুখেও সূর্যমুখীর তেল মাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে সূর্যমুখীর তেলের সঙ্গে দু'ফোঁটা ল্যাভেন্ডার কিংবা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিয়ে মুখে মাখুন। হালকা হাতে মালিশ করুন, তারপর ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।