ব্রিটেনের মসনদে বসলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। লিজ ট্রাসের ইস্তফার পর এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কনজারেভেটিভ পার্টি প্রধান তথা পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন সুনক। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হবেন। যে ব্রিটিশরা দীর্ঘ ২০০ বছর ভারতে শাসন চালিয়ে গিয়েছেন এবার সেদেশের সিংহাসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনও ব্যক্তি।
এদিকে বর্তমানে ব্রিটেন নিবাসী হলেও তাঁর বাবা ও মা দু'জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। পূর্ব আফ্রিকা থেকে তাঁরা দু'জনে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন ১৯৬০ সালে। সুনকের ছেলেবেলা কেটেছে ব্রিটেনেই। ১৯৮০ সালের ১২ মে সাউথাম্পটনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুনক। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবথেকে বড়।
ঋষির বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকায় জন্মেছিলেন। তবে তাঁর দাদুরা ছিলেন পঞ্জাবের বাসিন্দা। এই সূত্রে ঋষি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে পরিচিত।
ঋষি সুনক অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন।
গ্রীষ্মকালে ছুটির সময় ওয়েটার হিসেবেও কাজ করেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত। ২০১৫ সালে রিচমন্ড,ইয়র্কশায়ার থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদের সদস্য় হয়েছিলেন। আর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জনসনের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
দাদু পঞ্জাবের বাসিন্দা হওয়া ছাড়াও সুনকের ভারতের সঙ্গে আরও একটি যোগ রয়েছে। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তিকে ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি সুনক। বর্তমানে তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে।
বরিস জনসনের ইস্তফার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে লিজ় ট্রাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঋষি সুনক। তবে শেষ পর্যায়ে টোরি পার্টি সদস্যরা লিজ়কেই বেছে নেন। তবে ৪৫ দিনেই সেই রাজ্যপাট চুকে যায় লিজ়ের। গত বৃহস্পতিবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন লিজ়। আর তার চারদিনের মধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী হলেন ঋষি সুনক।