ছোটবেলা থেকেই সকলকে শাকসবজি খেতে অভ্যাস করানো হয়। এই সবজি হল শক্তি আর পুষ্টির দুর্দান্ত ভাণ্ডার। নিয়মিত ভাবে সবজি খেলে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি, লিভার সব ঠিক থাকে। এমনকী শরীরে রক্তপ্রবাহও ঠিক থাকে।
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এসব পাওয়া যায় খাবার থেকে। খাবারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি, আয়রন, কপার। তবে বর্ষায় নদী-খালের সবুজ শাক সবজি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পোকামাকড় থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায় বর্ষাতে। অনেক সময় জল দিয়ে ধুলেও সেই সব পোকা যায় না। এরপর খাবারের মাধ্যমে তা সোজাসুজি মাথায় গিয়ে পৌঁছয়।
আর তাই এই বর্ষায় কী কী শাক-সবজি থেকে দূরে থাকবেন? সবজি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই রোজ একবাটি করে কোনও একটা সবজির তরকারি খেতেই হবে। কুমড়ো, লাউ, ঝিঙে, পটল, ঢ্যাঁড়শ এসব খান।
এই সময় পালং শাক, খসলা শাক, লাল শাক এসব কিনে না খাওয়াই ভাল। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পোকামাকড় থাকে। পরিবর্তে সজনে শাক ভেজে খেতে পারেন। এই পাতার মধ্যে ভিটামিন সি, প্রোটিন, বিটা ক্যারোটিন, সাইট্রিক অ্যাসিড এসব অনেকটা পরিমাণে থাকে।
তাই বর্ষায় যে কোনও সবজিই বাজার থেকে কিনে এনে ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে তবেই রান্না করুন। নদী-নালা জলে ভরে যায় বলে সেখান থেকে ফসলও নষ্ট হয়। যে কারণে বর্ষায় বাজারের আগুন দাম থাকে।
তাই বলে কি বর্ষায় সবজি খাবেন না! সহজপাচ্য এবং সহজে পাওয়া যায় এমন সবজি কিনে আনুন। ক্যাপসিকাম, টমেটো, গাজর এসব খেতে পারেন। সব থেকে ভাল যদি রোজ একবাটি করে লাউ এর সবজি খেতে পারেন।
চেষ্টা করুন আলু ছাড়া তরকারি খেতে। কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শ, পটল এসব শরীরের জন্য খুব ভাল। এতে ওজন কমে, রক্তশর্করাও অনেকটা কমে। সবজির তরকারি একটা করে বানিয়ে নিন। কিংবা সবজি দিয়ে ডাল বানিয়েও খেতে পারেন।