পয়লা বৈশাখের আগেই তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদে তেতেপুড়ে যাচ্ছে বঙ্গবাসী। ফ্যান চালিয়ে ঘুমোলেও কোনও শান্তি নেই।
এই গরমে শরীরের দফারফা। ডিহাইড্রেশন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। শরীরে জল প্রয়োজনের তুলনায় কমে গেলে তখন নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর এর প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও।
ত্বকে কালো দাগ পড়া, ত্বক ম্লান হয়ে যাওয়া এসব লেগেই থাকে। অতিরিক্ত ঘাম, রোদ পরিশ্রমে ত্বকের উপর একটা প্রভাব পড়েই। এছাড়াও দূষণ তো আছেই। ত্বকের উপর ময়লার স্তর পড়ে, ত্বকে ঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌঁছয় না
গরমে তাই নিয়মিত ভাবে মুখ পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। এর সঙ্গে শরীর আর মুখ দুই ঠান্ডা রাখতে হবে। শরীর হাইড্রেট থাকলে তবেই ফিরবে মুখের জেল্লা। তাই গরমে বিভিন্ন শরবত, টকদই এসব অনেক বেশি করে খেতে হবে।
গরমের দিনে নুন, চিনি, লেবু দিয়ে শরবত খাওয়ার পাশাপাশি চুমুক দিন আমপোড়ার শরবতে। চৈত্রের দগ্ধ দিনে নানা রোগের প্রকোপের হাত থেকে রক্ষা করে এই শরবত।
কাঁচা আমের বোঁটা ছাড়িয়ে প্রথমে গ্যাসে পুড়িয়ে নিতে হবে। এবার একটা বাটিতে ভাল জল নিয়ে ওর মধ্যে আম রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
এবার আমের খোসা ছাড়িয়ে কাথ বের করে নিয়ে খুব ভাল করে চটকে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে ভাজা দিরে গুঁড়ো, চিলিফ্লেক্স, স্বাদমতো নুন আর চিনি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
সব ভাল করে মিশে গেলে একটা গ্লাসে হাফ এই কাথ আর ১/৪ কাপ ঠান্ডা জল মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে। রোদ থেকে ফিরে এই শরবত একগ্লাস খেলে ফিরবে ত্বকের জেল্লা।