চলছে রমজান মাস। নিয়ম রাখতে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা রোজা শুরু করেছেন। একমাস ধরে রোজা রাথার নিয়ম রয়েছে। সূর্যোদয়ের আগে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু হয়। সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙা হয়।
আজকাল অধিকাংশ মানুষই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। দিন দিন জাঁকিয়ে বসছে এই সমস্যা। অনেকেই এমন আছেন যাঁদের সুগার রয়েছে এদিকে তাঁরা রোজাও রাখছেন। আর তাই তাঁদের কিন্তু নিয়ম মেনে রোজা রাখা দরকার। শরীরের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন সময় ওষুধ খেতে হবে সেই পরামর্শ তিনি দেবেন। সেই সঙ্গে কোন সময় কেমন খাবার খাবেন তাও তিনি বলে দেবেন।
রোজা রাখলেও রোজ কিন্তু নিয়ম করে ব্লাড সুগার মেপে নেবেন। দিনের মধ্যে অন্তত দুবার মাপবেন। যদি কেখেন যে কোনও সমস্যা হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরী করবেন না।
যেহেতু রোজায় প্রায় ১২ ঘন্টা উপবাসে থাকতে হয় তাই এই সময় শরীর যাতে হাইড্রেটেড থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। রোজার আগে ও পরে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
সেহরি বা ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত খাবারও নয়। একদম হালকা খাবার খান এবং বুঝে খাবার খান। নইলে খাবার হজম হতেও সমস্যা হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি বা আলু একদম নয়।
যে সব ফলের মধ্যে চিনির মাত্রা কম সেই সব ফল খান। তরমুজ, শসা, আপেল, লেবু, কিউই এই সব ফল বেশি করে খেতে হবে। মাখনা খেতে পারেন। এমন সব খাবার খান যাতে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে।
রোজা রাখার পাশাপাশি ঘুম যাতে ভাল হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জৈবিক ঘড়িতে এই সময় কিছু পরিবর্তন আসে। আর তাই ঘুমের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।