নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের যুগলবন্দিতে শনিবার থেকেই দুর্যোগের চোখরাঙানি দিঘায়। শনিবার দিনভর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে সৈকতশহরে। রবিবারও আকাশ সকাল থেকেই কালো। বেলা বাড়তেই আকাশ ছেঁচে নেমেছে বৃষ্টি। এরপর অবিরাম।
বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ফুঁসছে সমুদ্রও। গার্ডওয়াল টপকে আছড়ে পড়ছে একের পর এক দামাল ঢেউ। প্রকৃতির এই হুঙ্কারে ফের ত্রস্ত দিঘা-সহ সংলগ্ন সমুদ্র উপকূলের জনজীবন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে সে। যার জেরে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলায়। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ারও দাপট।
কড়া নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। সতর্কবার্তা পেয়ে ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে সমস্ত লঞ্চ-ট্রলার। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে মৎস্য দফতর। এছাড়া পর্যটকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণি পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমুদ্রস্নানের উপর।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এই মুহূর্তে অবস্থান করছে দক্ষিণ ওড়িশার উপরে। যার অভিমুখ ছত্তীসগঢ়ের দিকে। এই নিম্নচাপের ফলে শুধু উপকূলের জেলাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।