প্রাচীন কাল থেকেই ঘি-কে আমরা সুপার ফুড হিসেবে দেখে এসেছি। শরীরের জন্য খুবই উপকারী ঘি। ঘিয়ের মধ্যে থাকে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এছাড়াও ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যাতেও ভাল কাজ করে ঘি।
তবে ঘি বানানোর পদ্ধতিতে এসেছে বদল। আগেকার দিনে কাঠের বিলোনার সাহায্যে টক দই ফেটিয়ে সেখান থেকে মাখন আলাদা করে তারপর তাকে একদম নিভু আঁচে নেড়ে তৈরি করা হত ঘি।
তবে আজকাল একটু অন্যভাবে ঘি বানানো হয়। সরাসরি মাখন কিংবা ক্রিম ফেটিয়ে সেখান থেকে মাখন আলাদা করে তারপর নিভু আঁচে তা নাড়লেই তৈরি হয় ঘি। পোড়া অংশ তলানিতে রয়ে যায়। উপর থেকে তরল অংশ ছেঁকো নিলেই হল।
বিলোনা ঘি এর স্বাদ কিন্তু এখনকার ঘিয়ের স্বাদের তুলনায় একদম অন্যরকম। এই ঘি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। সেই সঙ্গে একটা সুন্দর গন্ধ থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে অনেক উপকারে লাগে।
অধুনা ঘি-তে অনেকাংশেই ভেজাল মেশানো থাকে। আর যে ভেজাল দেওয়া হয় তা মানব শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। বরং এই ঘি বেশি খেলে শরীরে চর্বি জমার আশঙ্কা থাকে। যে কারনে স্বাস্থ্যকর ঘি হিসেবে অগ্রাধিকার বিলোনা ঘিয়েরই রয়েছে।