Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Weed Smoking: গাঁজা খেলে কেন নেশা হয়, আসল কারণটা জানেন?

Weed Smoking: স্রেফ নেশা করার জন্য অনেকে গাঁজা সেবন করেন। গাঁজা সেবনের পর মানুষ নিজের স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রশ্ন হল কেন এমন হয়? গাঁজা খেলে কেন অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়ে মানুষ?

| Updated on: Feb 26, 2025 | 7:37 PM
শিবরাত্রি এবং গাঁজার মধ্যে শত শত বছরের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় বিষ হজম করার জন্য ভগবান শিব গাঁজা সেবন করেছিলেন। গাঁজার শীতল গুণ তাঁর দেহের বিষাক্ত তাপকে শান্ত করতে সাহায্য করেছিল। যদিও কেউ কেউ অবশ্য এই কথাকে গুরুত্ব দেন না। সে অন্য তর্কের জায়গা।

শিবরাত্রি এবং গাঁজার মধ্যে শত শত বছরের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় বিষ হজম করার জন্য ভগবান শিব গাঁজা সেবন করেছিলেন। গাঁজার শীতল গুণ তাঁর দেহের বিষাক্ত তাপকে শান্ত করতে সাহায্য করেছিল। যদিও কেউ কেউ অবশ্য এই কথাকে গুরুত্ব দেন না। সে অন্য তর্কের জায়গা।

1 / 9
স্রেফ নেশা করার জন্য অনেকে গাঁজা সেবন করেন। গাঁজা সেবনের পর মানুষ নিজের স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অনেকটা মদ্যপান করলে যেমন হয়, তেমনই। তখন কী করছেন নিজেই বুঝতে পারেন না। প্রশ্ন হল কেন এমন হয়? গাঁজা খেলে কেন অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়ে মানুষ?

স্রেফ নেশা করার জন্য অনেকে গাঁজা সেবন করেন। গাঁজা সেবনের পর মানুষ নিজের স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অনেকটা মদ্যপান করলে যেমন হয়, তেমনই। তখন কী করছেন নিজেই বুঝতে পারেন না। প্রশ্ন হল কেন এমন হয়? গাঁজা খেলে কেন অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়ে মানুষ?

2 / 9
শিবরাত্রি হোক বা হোলি, ভারতে গাঁজা সেবন অবৈধ হলেও তা অনেকের মধ্যেই প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ জলে মিশিয়ে পান করেন এবং কেউ কেউ এটিকে পিষে ভাং বানিয়ে খান।

শিবরাত্রি হোক বা হোলি, ভারতে গাঁজা সেবন অবৈধ হলেও তা অনেকের মধ্যেই প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ জলে মিশিয়ে পান করেন এবং কেউ কেউ এটিকে পিষে ভাং বানিয়ে খান।

3 / 9
গাঁজা খাওয়ার পরে কেন অত্যন্ত খুশি হয়ে পড়ে মানুষ? এটি খাওয়ার পর খুশি বোধের কারণ হল খুশির হরমোন। শরীরে পৌঁছানোর পর, গাঁজা ডোপামিন হরমোনে নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। একে সুখের হরমোন বলা হয়। এই হরমোন মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সুখের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

গাঁজা খাওয়ার পরে কেন অত্যন্ত খুশি হয়ে পড়ে মানুষ? এটি খাওয়ার পর খুশি বোধের কারণ হল খুশির হরমোন। শরীরে পৌঁছানোর পর, গাঁজা ডোপামিন হরমোনে নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। একে সুখের হরমোন বলা হয়। এই হরমোন মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সুখের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

4 / 9
এই অনুভূতির কারণে মানুষ প্রায়শই মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাড়ে জীবনের ঝুঁকি। গাঁজার নেশা অন্যতম ভয়ঙ্কর নেশা হিসাবে মনে করা হয়।

এই অনুভূতির কারণে মানুষ প্রায়শই মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাড়ে জীবনের ঝুঁকি। গাঁজার নেশা অন্যতম ভয়ঙ্কর নেশা হিসাবে মনে করা হয়।

5 / 9
একজন ব্যক্তি কত দ্রুত নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তা নির্ভর করে এটি কোন আকারে গ্রহণ করা হয় তার উপর। যদি সিগারেট বা বিড়িতে গাঁজা মিশিয়ে সেবন করা হয়, তাহলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এর প্রভাব কার্যকর হতে শুরু করে। কারণ ফুসফুস খুব দ্রুত ধোঁয়া শোষণ করে এবং এই প্রভাব মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

একজন ব্যক্তি কত দ্রুত নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তা নির্ভর করে এটি কোন আকারে গ্রহণ করা হয় তার উপর। যদি সিগারেট বা বিড়িতে গাঁজা মিশিয়ে সেবন করা হয়, তাহলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এর প্রভাব কার্যকর হতে শুরু করে। কারণ ফুসফুস খুব দ্রুত ধোঁয়া শোষণ করে এবং এই প্রভাব মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

6 / 9
গাঁজা খেলে বা পান করলে, তা নেশায় পরিণত হতে সময় লাগে। এক্ষেত্রে, প্রভাব এক ঘন্টা বা তার বেশি সময় পরে হতে পারে। তবে, এই সব ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে, প্রভাব দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। এর ফলে কী ক্ষতি হয় জানেন?

গাঁজা খেলে বা পান করলে, তা নেশায় পরিণত হতে সময় লাগে। এক্ষেত্রে, প্রভাব এক ঘন্টা বা তার বেশি সময় পরে হতে পারে। তবে, এই সব ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে, প্রভাব দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। এর ফলে কী ক্ষতি হয় জানেন?

7 / 9
গাঁজা যেহেতু মস্তিষ্কের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, তাই পরিমাণ কম হোক বা বেশি, মস্তিষ্কের উপর একই প্রভাব থাকবে। নিয়মিত গ্রহণ করলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। চোখ লাল দেখাতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে।

গাঁজা যেহেতু মস্তিষ্কের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, তাই পরিমাণ কম হোক বা বেশি, মস্তিষ্কের উপর একই প্রভাব থাকবে। নিয়মিত গ্রহণ করলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। চোখ লাল দেখাতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে।

8 / 9
গাঁজা কেবল নেশার জন্যই নয়, ওষুধের জন্যও ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ গাঁজা সেবন করেন। কম দামে পাওয়া যায় বলে এর ব্যবহারও বেশি। কিন্তু বিপদ সম্পর্কেও সচেতন থাকা জরুরি।

গাঁজা কেবল নেশার জন্যই নয়, ওষুধের জন্যও ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ গাঁজা সেবন করেন। কম দামে পাওয়া যায় বলে এর ব্যবহারও বেশি। কিন্তু বিপদ সম্পর্কেও সচেতন থাকা জরুরি।

9 / 9
Follow Us: