Tata Group Share: এক লাখে ১২ কোটির রিটার্ন, এই শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন আপনিও
Tata Elxsi Share: টাটার শেয়ার কিনলেই মালামাল, ১ লাখে ১২ কোটি রিটার্ন। এও সম্ভব?
তাঁরা যতটা দেশীয়, ঠিক ততটাই যেন আন্তর্জাতিক। বিশ্ব789
জু ড়ে ছড়িয়ে এই গোষ্ঠীর নাম। শুধুই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নয়, দেশের স্বার্থের নানা উদ্যোগে অর্থ বিনিয়োগ (Invest) করতে দেখা যায় টাটা গোষ্ঠীকে। সুতরাং বলাই বাহুল্য, দেশ গঠনে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রয়াত শেয়ার বিশারদ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala) টাটা গোষ্ঠীকে চিরকাল শেয়ার বাজারের (Share Market) ‘আশীর্বাদ’ বলে মনে করতেন। তিনি নিজেও এই সংস্থার শেয়ারে বিনিয়োগ করা থেকে পিছিয়ে থাকতেন না। এই সংস্থার শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগ করে ডুবতে হয়েছে, এমন ঘটনা নেহাতই কম। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, দীর্ঘমেয়াদে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগই বেশ লাভজনক। বেশিরভাগ সময়ই এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় অঙ্কে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে সকল শেয়ারের মধ্যে নজর কেড়েছে টাটা Elxsi-র শেয়ার।
গত বছরের শেষার্ধেও দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়েছে Tata Elxsi। প্রায় ৮১৭.৭০ কোটি টাকা আয়ের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। গত অর্থবর্ষেও শেষ ত্রৈমাসিকে মোট ৬৩৫.৪০ কোটি টাকা আয় করেছিল টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থা। বছর ঘুরতেই আয়ের পরিমাণ যেন আকাশছোঁয়া। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৮.৭০ শতাংশ বেশি আয় করেছে Tata Elxsi Ltd। পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘমেয়াদে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ১২ কোটি টাকা পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে এই শেয়ার থেকে।
বর্তমানে এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি মূল্য ৬ হাজার ৬০০ টাকার আশেপাশে। যদিও গত ৫২ সপ্তাহে এই শেয়ারের সর্বোচ্চ বাজারদর ছুঁয়েছিল ১০ হাজার ৭৬০ টাকার গণ্ডি। তবে মজার বিষয় হল, ১৯৯৬ সালে এই শেয়ারের দাম ছিল ১০.৬৩ টাকা। বিগত কয়েক দশকে তারপর থেকে এই শেয়ারের বাজারদর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। হিসাব বলছে, তৎকালীন সময়ে কেউ যদি ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতেন এবং এতদিন ধরে রাখতেন তা হলে, আজ তিনি প্রায় ১২.৫৩ কোটি টাকার মালিক হতেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই শেয়ারের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও অতীতের গ্রাফ দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান আগামীতে ফের উঠে দাঁড়াতে পারে Tata Elxsi-র শেয়ার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই শেয়ারের দাম বেড়ে ৭ হাজার ২০০ টাকার গন্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।