Kartik Purnima 2022: এ মাসের সবচেয়ে শুভ দিন কোনটি? কীভাবে পালন করলে ঘুচে যাবে সব দুঃখ-কষ্ট?
Dev Deepawali 2022: হিন্দু ধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে অনেকে ত্রিপুরী পূর্ণিমা বলা হয়ে। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ৮ নভেম্বর পালিত হবে কার্তিক পূর্ণিমা (Kartik Purnima 2022) কার্তিক মাসের সবথেকে শুভ দিন বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, কার্তিক পূর্ণিমার দিনে যে ব্যক্তি পবিত্র গঙ্গানদীতে স্নান করে কোনও দুঃস্থদের দান করেন তার মঙ্গল ও সাফল্যে আসে জীবনে। এছাড়া যারা সারা বছর পুজো করেন না, তারা এদিন পুজো করলে সেই ক্ষতি একটি দিনেই পূরণ হয় বলে মনে করা হয়। কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণুর (Lord Vishnu) সবচেয়ে প্রিয় মাস। শ্রীকৃষ্ণেরও প্রিয় মাস এটি। হিন্দুধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে দেব দীপাবলি (Dev Deepawali 2022) নামেও ব্যাখ্যা করা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু কার্তিক মাসে মত্স্য অবতারে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কার্তিক পূর্ণিমার গুরুত্ব ও এই দিনে কী কী করা উচিত, পুজো পদ্ধতিই বা কী, সবটাই জানুন…
তাত্পর্য
হিন্দু ধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে অনেকে ত্রিপুরী পূর্ণিমা বলা হয়ে। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন। ত্রিপুরাসুর বধে খুশি হয়ে স্বর্গের সব দেবতারা কাশীতে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। সেই থেকে বানারসি, কাশীতে দেব দীপাবলি ধুমধাম করে পালিত হয়।
প্রদীপ দেবেন কীভাবে
প্রদোষ কার্তিক পূর্ণিমার দিনে নদী , পুকুরে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনটি প্রদীপ জ্বালিয়ে পালন করার বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। এই দিনে ব্রহ্ম মুহূর্তে সকালে নদী বা পুকুরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। কথিত আছে, এদিন প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
কার্তিক পূর্ণিমার পুজো পদ্ধতি
এদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাছে নদী বা পুকুরে স্নান করে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরুন। যদি এমন সুযোগ-সুবিধা না থাকে, তাহলে বাড়িতে গঙ্গাজলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এরপর বাড়ির পাশে নদী বা পুকুরের ঘাটে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বাডির কাছের মন্দিরে গিয়ে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে আসতে পারেন। তারপর বাডির পুজো সেরে নিন।
এই দিনে ভুলেও যে যে কাজগুলি করবেন না, তা দেখে নিন…
– কার্তিক পূর্ণিমায় মানুষ ভুলেও তুলসি পাতা স্পর্শ করবেন না। তুলসি পাতা বা ডাল ভাঙবেন না এদিন।
– এইদিনে পারলে নিরামিষ খাবার খেতে পারেন। তেলমশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না।
– এছাড়া এইদিনে কারোর সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, রাগ, হিংসা বা আবেগে ভেসে যাবেন না। অনুভূতিগুলিতে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।