Age Fraud : ঘরোয়া ক্রিকেটে আশ্চর্য ঘটনা! নির্বাসিত নয়, বয়স ভাঁড়িয়ে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে ক্রিকেটার
Maharastra Cricket : গত জানুয়ারি মাসে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছিল। মালেগাওয়ের ক্রিকেটার অমল কল্পে যে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট জমা করেছিল, তাতে উল্লেখ ছিল ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম তার।
পুনে: বয়স ভাঁড়িয়ে টিম থেকে বাদ কিংবা সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা আকছার। সব রাজ্যের সব খেলারই বয়সভিত্তিক টিমগুলোর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বিরল নয়। প্রায়ই শোনা যায়, বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত অমুক বা তমুক প্লেয়ার। এই বয়স ভাঁড়ানো (Age Fraud) আটকাতে কড়া নিয়মও অনুসরণ করেন বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার কর্তারা। কিন্তু বয়স ভাঁড়িয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনা বিরল। এতেই শেষ নয়, বয়স ভাঁড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত ক্রিকেটারের প্রথম তিন পুলিশি হেফাজতে ছিল। গত মঙ্গলবার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় জেল হেফাজত হয়েছে ওই ক্রিকেটারের। এই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্র ক্রিকেটে (Maharastra Cricket)। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেটমহল। কোনও ক্রিকেটার বয়স ভাঁড়িয়ে যে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন, কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না। ঘটনা কী, তুলে ধরল TV9 Bangla Sports।
গত জানুয়ারি মাসে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছিল। মালেগাওয়ের ক্রিকেটার অমল কল্পে যে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট জমা করেছিল, তাতে উল্লেখ ছিল ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম তার। কিন্তু তার নথি খতিয়ে দেখা গিয়েছে ১৯৯৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম। কারভারি ক্লাবের হয়ে ৮ বছর বয়স ভাঁড়িয়ে ২৪ বছরের ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব ১৯ টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছিল। প্রথমে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট নিয়েই টুর্নামেন্ট খেলতে শুরু করেছিল অমল। কিন্তু নানা সাতাভ নামের একজন তার বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ আনেন। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ার পর সত্যি বলে জানা গিয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, অমলের বিরুদ্ধে পুলিশ তিনটে অভিযোগ এনেছে। অমল গ্রুপ লিগের তিনটে ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু তার বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে কারাভারি ক্লাবকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। অমলের ঘটনা যেমন বিরল, তেমনই থাকছে একগুচ্ছ প্রশ্ন।
নানা সাতাভ বলেছেন, ‘আমি ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলাম, তার কারণ হল বয়স ভাঁড়ানোর মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে সে ভাবে ভাবাই হয় না, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ঘটনা হল, কিছু ক্রিকেটার কিন্তু নিয়ম মেনেই খেলছে। তাদের কথাও তো ভাবা উচিত।’
বারামতি থানার ইন্সপেক্টর সুনীল মহাদিক বলেছেন, ‘যে সার্টিফিকেট জমা করেছিল অভিযুক্ত, তা আমরা খতিয়ে দেখেছি। মালেগাওয়ের ওই ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায়, সে তার বয়স ভাঁড়িয়েছিল। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় কারা জড়িয়ে, তা জানার চেষ্টাও করা হচ্ছে।’
অমলের পরিবার বয়স ভাঁড়ানোর ব্যাপারে কিছু জানে না। তার দাদা কিরণ বলেছেন, ‘জানুয়ারি মাসে অমল কোন টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে, বয়সভিত্তিক কোনও টুর্নামেন্ট কিনা, তা আমরা একেবারেই জানতাম না। ও যে বয়স ভাঁড়িয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও ধারনাই নেই আমাদের।’