Ramiz Raja: বিলিয়ন ডলারের লিগ যাদের, তারা কিনা পিছনে, ভারতকে এমন কটাক্ষ কার?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) সেমিফাইনাল থেকে রোহিত শর্মাদের বিদায়ের পর এমন কটাক্ষই ভেসে আসছে ওয়াঘার ওপার থেকে। আইপিএল নিয়ে রসিকতা শুরু করলেন কে?

Ramiz Raja: বিলিয়ন ডলারের লিগ যাদের, তারা কিনা পিছনে, ভারতকে এমন কটাক্ষ কার?
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2022 | 8:28 PM

মেলবোর্ন: রাতারাতি পালাবদল? নাকি, এত দিনের চেপে রাখা ক্ষোভ এ বার উগরে দিতে চাইছে? একসঙ্গে দুটোই। যে পাকিস্তান এতদিন ভারতের সঙ্গে ক্রিকেটীয় ‘সুসম্পর্ক’ তৈরির চেষ্টা করছিল, তারাই এখন উল্টো সুরে গাইছে! যে পাকিস্তান শুধু বিশ্বকাপে আটকে না থেকে ভারতের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের মাটিতে লিগ খেলার দাবি তুলছিল, তারাই এ বার বিসিসিআইকে (BCCI) খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) সেমিফাইনাল থেকে রোহিত শর্মাদের বিদায়ের পর এমন কটাক্ষই ভেসে আসছে ওয়াঘার ওপার থেকে। আইপিএল নিয়ে রসিকতা শুরু করে দিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ রামিজ রাজা (Ramiz Raja)। এতেই শেষ নয়, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত-পাক টেস্ট সিরিজের যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তাও উড়িয়ে দিলেন তিনি। কী বললেন রামিজ, তা তুলে ধরল TV9 Bangla

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হাজির থাকার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পা দিয়ে রামিজ বলে দিয়েছেন, ‘বিলিয়ন ডলার লিগ (আইপিএল) যাদের, তারা পিছনে থেকে গেল। আমরা এগিয়ে গেলাম। এর মানে এটাই যে, আমরা কিছু জিনিস ঠিক মতো করে দেখাতে পেরেছি।’

এমন নয় যে, আইপিএলকে এই প্রথম কটাক্ষ করলেন রামিজ। এর আগেও তিনি এ নিয়ে রসিকতা করে আইপিএলকে ‘বিলিয়ন ডলার’ লিগ বলেছেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগে বলেছিলেন, গত বছরের আমিরশাহি বিশ্বকাপে বাবর আজমরা যে ভাবে ভারতকে হারিয়েছিল, পাকিস্তানকে কৃতিত্ব দিতে হবে।

সেই সঙ্গে টেস্ট সিরিজের জল্পনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। রামিজের কথায়, ‘ভারত-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ নিয়ে আমার কোনও ধারনাই নেই।’ আগামী বছর এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। ওই এশিয়া কাপে ভারত খেলবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। ওই ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক তর্জাও হয়ে গিয়েছে দু’দেশে।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমদের দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখে রামিজের ১৯৯২ সালের পাকিস্তানকে মনে পড়ে যাচ্ছে। ওই টিমের সদস্য ছিলেন রামিজও। তাঁর কথায়, ‘১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেও এমনটাই ছিল পাকিস্তান। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলাম আমরা। বিপক্ষ ফাইনালে যদি ১৫ জনের টিমও নামায়, আমরা হারব না ঠিক করে নিয়েছিলাম। তফাত একটাই। বাবরের টিম আমাদের থেকে অনেক বেশি রিল্যাক্সড। ফাইনালের আগে আমরা কিন্তু ভয়ে ভয়ে ছিলাম। বাবররা তেমন নয়। ওরা খেলাটাকে উপভোগ করছে।’