James Anderson: চালশে নয়, চল্লিশেও চমক অ্যান্ডারসনের
ICC Test Ranking: ইংল্য়ান্ডের এই পেসারের বয়স বাড়লেও পারফরম্য়ান্সে কোনও নেতিবাচক ছাপ পড়েনি। এখনও একইরকম ভয়ঙ্কর। সুইংয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্য়াটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পিছপা হন না।
দুবাই: বয়স শুধুই সংখ্য়া মাত্র। বহু ব্য়বহৃত সেই বাক্য। আরও একবার লিখতেই হচ্ছে। তেমন চমকি দিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্য়ান্ডের এই পেসারের বয়স বাড়লেও পারফরম্য়ান্সে কোনও নেতিবাচক ছাপ পড়েনি। এখনও একইরকম ভয়ঙ্কর। সুইংয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্য়াটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পিছপা হন না। সদ্য নিউজিল্য়ান্ড সফরেও অনবদ্য় পারফরম্য়ান্স তাঁর। যার ফল মিলল আইসিসি টেস্ট বোলারদের ক্রমতালিকাতেও। প্য়াট কামিন্সকে সরিয়ে বোলারদের শীর্ষে ইংল্য়ান্ডের অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটই শুধু খেলবেন বলে বাকি সব ফরম্য়াট থেকে অনেক আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কেরিয়ারের শেষ ওয়ান ডে খেলেছেন ২০১৫ সালে। টি২০ আন্তর্জাতিক সেই ২০০৯ সালে। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার জন্য় প্রয়োজন কঠিন ডিসিপ্লিন। ফিটনেস ট্রেনিং, শৃঙ্খলায় তাঁর জুরি মেলা ভার। যাবতীয় নিয়মানুবর্তিতার ছাপ পাওয়া যায় পারফরম্য়ান্সেও। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
অ্যান্ডারসনের ধারাবাহিকতা বজায় নিউজিল্য়ান্ডের মাটিতেও। যার ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিউজিল্য়ান্ডে টেস্ট জয়ের নজির গড়েছে ইংল্য়ান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুইতে প্রথম ইনিংসে নেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর ঝুলিতে ৪ উইকেট। অ্যান্ডারসন-ব্রডের জুটি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল। কেরিয়ারে ১৭৮টি টেস্টে ৬৮২ উইকেট নিয়েছেন জিমি। টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার নজির তাঁর দখলেই। ইনিংসে সেরা বোলিং ৭-৪২। ইনিংসে ৫ কিংবা তার অধিনায়ক উইকেট নিয়েছেন মোট ৩২ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্য়াট কামিন্স ঘরের মাঠেই যত দাপট দেখান, উপমহাদেশীয় পিচে তাঁর পরিস্থিতি সঙ্গীন। ভারত সফরে অধিনায়ক এবং বোলার, দুই ভূমিকাতেই ব্য়র্থ কামিন্স। এ দিনের আগে চার বছর টেস্ট বোলারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থানে ছিলেন কামিন্স। তাঁর কাছেই ছিলেন জিমি। মাউন্ট মঙ্গানুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে কামিন্সকে ছাপিয়েই গেলেন অ্যান্ডারসন। ২০০৩ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জিমির। সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার দিক থেকে তালিকায় ভারতের কিংবদন্তি ব্য়াটার সচিন তেন্ডুলকরের (২০০) পরই রয়েছেন অ্যান্ডারসন।