Virat Kohli vs Babar Azam: বাবর কোনও দিন বিরাট হতে পারবেন না, কেন বললেন শোয়েব আখতার?

সাফল্য আর ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা, এক জিনিস নয়। খুব কম প্লেয়ারই সেটা হতে পারেন। ক্রিকেট বিশ্বে যেমন বিরাট কোহলি ব্র্যান্ড, তাঁর সঙ্গে তুলনা চললেও বাবর আজম সেটা হতে পারবেন না। কেন?

Virat Kohli vs Babar Azam: বাবর কোনও দিন বিরাট হতে পারবেন না, কেন বললেন শোয়েব আখতার?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2023 | 12:38 AM

করাচি: বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার যদি খুঁজতে হয়, তা হলে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) দিয়ে শুরু করতে হবে তালিকা। স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, বাবর আজমরা (Babar Azam) থাকবেন। গত কয়েক বছর সব ধরনের ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেছেন পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন। টিমকে সাফল্য দিয়েছেন যেমন, তেমনই নিজেও পেয়েছেন রান। আর তাই বিরাটের সঙ্গে তুলনা চলে তাঁর। কিন্তু বাবর কি আদৌ বিরাট হয়ে উঠতে পারবেন? তুলনা চললেও তেমন সম্ভাবনা কেউই দেখতে পাচ্ছেন না। বরং অনেকেই বলছেন, বিরাটের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি তিনি। ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা তো অনেক দূরের ব্যাপার। বিশ্ব ক্রিকেটে বিরাট নিজেই ব্র্যান্ড। তাঁর পিছনে টাকার থলি নিয়ে ছোটে বিভিন্ন কোম্পানি। নানা বিজ্ঞাপনের মুখও তিনি। কিন্তু বাবর সেই জায়গায় তুলে নিয়ে যেতে পারেননি নিজেকে। কারণ কী? তুলে ধরল TV9 Bangla

মাঠে কোনও এক ক্রিকেটারের সাফল্য শুধু তাঁর পারফরম্যান্সের নিরিখে মাপা হতে পারে। কিন্তু মাঠের বাইরে তাঁর প্রভাব, বিস্তৃতি যদি মাপতে হয়, তা হলে খেলার বাইরেও কিছু গুণ তাঁর থাকা দরকার। যা বাবরের নেই। আর কেউ নন, এমনই ব্যাখ্যা করছেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসারের যুক্তি হল, ‘পাকিস্তানে সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হওয়া উচিত ছিল বাবর আজমের। কিন্তু ও সেটা হয়ে উঠতে পারেনি। তার কারণই হল, বাবর ঠিক করে কথাই বলতে পারে না। আর সেই কারণেই বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে উঠতে পারেনি ও। আজও বিজ্ঞাপনের মুখ হিসেবে যে কারণে আমাকে, আফ্রিদিকে আর ওয়াসিম আক্রমকেই নেওয়া হয়। কারণ কী জানেন? আমরা এটাকে চাকরির মতো দেখি।’

শোয়ের একাই নন, বাবরের কথা না-বলতে পারার এই ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তনবীর আহমেদ। তনবীরকে তখন বাবর বলেছিলেন, ‘আমি ক্রিকেটার। তাই ক্রিকেট খেলাটাকেই প্রাথমিক কাজ হিসেবে দেখি। তাই করি। আমি ইংরেজ নই। তাই ভালো করে ইংরেজি বলতে পারি না। এটা ঠিক যে, আমি ঠিকঠাক করে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও মানুষ শিখে যায়। চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে শেখা যায় না।’

বাবর যাই বলুন না কেন, ইংরেজি না বলতে পারার এই অক্ষমতা আজও তাঁকে পিছনের সারিতেই রেখে দিয়েছে। যে কারণে ইচ্ছে থাকলেও মিশতে পারেন না। সুযোগ থাকলেও ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারেন না। বাবর ক্রিকেটার যতই ছাপ রেখে যান, ক্রিকেট খেলা ছাড়ার কতটা প্রাসঙ্গিক থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।