Andre Russell: নিজের দেশের থেকেও প্রিয় কেকেআর! কিং খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি কৃতজ্ঞ রাসেল
KKR, IPL 2023 : বছরখানেকের বেশি সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলের হয়ে সুযোগ পান না আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁর উপর থেকে বিশ্বাস হারায়নি।
কলকাতা: চেন্নাই সুপার কিংসের যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরাট কোহলি বা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মা। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির পরিপূরক উপরোক্ত নামগুলি। তবে শুধু ভারতীয়রাই নন, এমন বেশি কিছু বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে একটি আইপিএল দলের হয়েই খেলছেন বা খেলেছেন। তালিকায় প্রথমেই নাম আসে এবি ডিভিলিয়ার্সের। এরপর অবশ্যই থাকবেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিধ্বংসী ক্রিকেটার খেলছেন নিজের দশম আইপিএল। সেই ২০১৪ সালে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন রাসেল। তারপর থেকে দলটির নিয়মিত সদস্য তিনি। এই ক্যারিবিয়ান হার্ড-হিটিং ব্যাটার অলরাউন্ডারকে যেতে দেয়নি কেকেআর। শনিবার কেকেআরের (KKR) জার্সিতে ১০০তম ম্যাচ খেলে মাইলস্টোন গড়লেন তিনি। সেই উপলক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন। নিজের দেশের থেকেও এগিয়ে রাখলেন কেকেআরকে। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কেকেআরের প্রশংসা করতে গিয়ে নিজের দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে একহাত নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। পাশাপাশি অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির থেকেও এগিয়ে রাখলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। তিনি বলেন, “আমার দেশও এত কিছু করেনি যা কেকেআর করেছে।” এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকবছর আগে হাঁটুর সার্জারির উদাহরণ টেনেছেন রাসেল। তাঁর কথায়, “আমি আজ যেখানে রয়েছি সেটা কেকেআরের জন্য। হাঁটুর চিকিৎসার জন্য ওরা আমাকে সঠিক জায়গায় পাঠিয়েছিল। এটা ভীষণ স্পেশাল আমার কাছে। অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি এমনকী নিজের দেশও এতটা করেনি আমার জন্য।”
আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম দিকে দুটো মরসুম দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে ছিলেন রাসেল। এখন আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএল খেলার বাসনা নেই তাঁর। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের কথায়, “এখানে খেলে আমি খুশি। অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আর খেলতে চাই না। কারণ ৯ বছর ধরে একটি দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। প্রতি বছর এই মানুষগুলোর সঙ্গে আমার দেখা হয়। খেলা না থাকলেও মিস্টার ভেঙ্কির সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকে। উনি খুব ভালো মানুষ।”