Gautam Gambhir : ‘এত পিরিত মাঠের বাইরে রাখা উচিত’, বিরাট-বাবরদের ‘বন্ধুত্ব’-এ নাক সিঁটকোলেন গম্ভীর
২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য গৌতম গম্ভীর বলেছেন, "স্টেডিয়ামের ভেতর এত বন্ধুত্ব দেখানো উচিত নয় ভারতীয় দলের সদস্যদের।"
কলকাতা : এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে ভারত ও পাকিস্তান (Ind vs Pak) মুখোমুখি হয়েছিল শনিবার। ২২ গজে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত দুই দেশ। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরাবরই আঁচ বাড়িয়েছে। কয়েকটা উদাহরণ বাদ দিলে দুই দেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে বরাবরই সদ্ভাব বজায় থেকেছে। দুই দলের বর্তমান ক্রিকেটাররাও সেই ধারা বজায় রেখেছেন। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাইরে বিরাট কোহলি, বাবর আজমদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। একে অপরকে শ্রদ্ধা করেন তাঁরা। সাক্ষাৎকারে দু’জনের মুখে একে অপরের প্রতি ভালো কথাই শোনা যায়। ক্যান্ডিতে এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচের আগের দিন বিরাট কোহলি ও হ্যারিস রউফের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনুশীলনের ফাঁকে দু’জনের দেখা হতেই আলিঙ্গন করেন। এরপর বিরাট ও রউফকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়। নেটমাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল ভারত-পাক ক্রিকেটারদের মধ্যে মিত্রতার ভিডিয়ো। এই ভিডিয়ো অবশ্য সবার মন গলাতে পারেনি। তাঁদের মধ্যে একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেন, “যখন আপনি নিজের জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন তখন বন্ধুত্বকে বাউন্ডারির বাইরে রেখে আসা উচিত। দুটি দলের ক্রিকেটারদের চোখে আগ্রাসন থাকা প্রয়োজন। ম্যাচের ছয় থেকে সাত ঘণ্টা বাদ দিয়ে বন্ধুত্ব পালন করুন। এই কয়েকটা ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি শুধু নিজেকে নয় দেশের কোটি কোটি মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।” ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য বলেছেন, “অথচ এখনকার রাইভেল টিমরা একে অপরের পিঠ চাপড়ে দেয়, ম্যাচ চলাকালীন ফিস্ট বাম্প দেয়। কয়েকবছর আগেও এগুলো দেখা যেত না। আপনারা তো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলছেন না।”
এক্ষেত্রে নিজের উদাহরণ টেনেছেন গৌতম গম্ভীর। জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার কামরান আকমলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের উদাহরণ টেনে বলেছেন, “আমরা খুব ভালো বন্ধু। এমনকী আমরা একে অপরের সঙ্গে ব্যাট আদানপ্রদান করেছি। কামরানের দেওয়া ব্যাট দিয়ে একটি গোটা মরসুম খেলেছি। সম্প্রতি ঘণ্টা খানেক ধরে দু’জনে কথা বলেছি।”