U19 World Cup: বিশ্বকাপ ফাইনালে মুশির-সচিনদের কাঁটা অজি টিমের ভারতীয় বংশোদ্ভুত সর্দারজি

Harjas Singh: ভারতের সঙ্গে হরজসের টান থাকলেও, তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। যে কারণে অজি টিমকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনিও। মুশির-উদয়-সচিনরা কি পারবেন সর্দারজিকে আটকে ভারতে ষষ্ঠবার যুব বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আসতে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে।

U19 World Cup: বিশ্বকাপ ফাইনালে মুশির-সচিনদের কাঁটা অজি টিমের ভারতীয় বংশোদ্ভুত সর্দারজি
U19 World Cup: বিশ্বকাপ ফাইনালে মুশির-সচিনদের কাঁটা অজি টিমের ভারতীয় বংশোদ্ভুত সর্দারজি
Follow Us:
| Updated on: Feb 09, 2024 | 7:53 PM

কলকাতা: ভারতে রয়েছে তাঁর শিকড়। সেই সর্দারজিকেই এ বার অস্ত্র হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সামনে রাখতে চাইছে অজি টিম। কথা হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত হরজস সিংকে (Harjas Singh) নিয়ে। তিনি ছাড়াও চলতি যুব বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন হরকিরত বাজওয়া (Harkirat Bajwa)। তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভুত। এই দু’জনের মধ্যে বেশি আলোচনা চলছে বাঁ হাতি ব্যাটার, ডান হাতি বোলার হরজস সিংকে নিয়ে। ভারতের সঙ্গে হরজসের টান থাকলেও, তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। যে কারণে অজি টিমকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনিও। মুশির-উদয়-সচিনরা কি পারবেন সর্দারজিকে আটকে ভারতে ষষ্ঠবার যুব বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আসতে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে।

২০০০ সালে চন্ডীগড় থেকে সিডনিতে চলে যায় হরজসের পরিবার। তাঁর বাবা-মা তাঁর কাজ করেন ট্রান্সপোর্ট ইন্ড্রাস্টিতে। প্রথম দিকে কাঠের টুকরো এবং টেনিস বল দিয়ে খেলা শুরু করেন হরজস। ধীরে ধীরে তাঁর ক্রিকেটের উপর ভালোবাসা বাড়তে থাকে। এরপর হরজসের যখন ৮ বছর বয়স সেই সময় তাঁর ভাগ্য বদলে যায়। রেভেসি ওয়ার্কার্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। হরজসের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হন নিল ডি’কোস্টা। যিনি ফিল হিউজ, মাইকেল ক্লার্ক, মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেনের মতো ক্রিকেটারদের অনুশীলন করাতেন। তাঁর কাছেই ক্রিকেটের তালিম নেন হরজস। টিনএজার হরজস জানান, ডি’কোস্টা তাঁকে শিখিয়েছিলেন আগে মাঠকে ভালোবাসো। তারপর ক্রিকেট। হরজসের প্রশংসা করে ডি’কোস্টা এক অস্ট্রেলিয়ান স্থানীয় সংবাদপত্রে বলেছিলেন, ‘এই ছেলেটা স্পেশাল। ওর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার ক্ষমতা রয়েছে।’

শুরুর দিকে ডান হাতি ব্যাটার ছিলেন হরজস। ব্যাটিং অনুশীলন করতে গিয়ে জানালার কাচ ভাঙার পর বাঁ হাতে ব্যাটিং করা শুরু করেন। ২০১৫ সালে শেষ বার ভারতে এসেছিলেন হরজস। ভারতের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলে তিনি গর্বিত বোধ করেন। হরজস জানিয়েছেন, চন্ডীগড় ও অমৃতসরে তাঁর পরিবার রয়েছে। তাঁর কাকা এখনও পঞ্জাবেই থাকেন। চলতি যুব বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন হরজস সিং। তাতে তিনি করেছেন ৪৯ রান। নিয়েছেন ১টি উইকেট। কিন্তু এই পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর দক্ষতা বিচার করে লাভ নেই।

হরজসের পাশাপাশি যে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার অজি অনূর্ধ্ব ১৯ স্কোয়াডে রয়েছেন তিনি হরকিরত বাজওয়া। তিনি মেলবোর্নে থাকেন। ডান হাতি ব্যাটার এবং অফ স্পিনও করতে পারেন। মেলবোর্নে তাঁর বাবা ট্যাক্সি চালান। মোহালিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। ২০১২ সালে তাঁর পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেয়। ৭ বছর বয়সে বাড়ির পেছনে মজা করার জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন হরকিরত। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা দেখে তাঁর কাকা এক স্থানীয় ক্রিতেট ক্লাবে নিয়ে যায় এবং সেখানে আমি সিরিয়াস ভাবে খেলা শুরু করেন। চলতি যুব বিশ্বকাপে তিনি ২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার একটিতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। অপরটিতে করেছিলেন ৭* রান।