India vs South Africa: সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিততে শেষ দিন বুমরা-সামিদের চাই ৬ উইকেট

চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪ উইকেটে ৯৪। প্রথম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ম্যাচ জিততে প্রোটিয়াদের চাই ২১১ রান এবং টিম ইন্ডিয়ার প্রয়োজন ৬টি উইকেট।

India vs South Africa: সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিততে শেষ দিন বুমরা-সামিদের চাই ৬ উইকেট
India vs South Africa: সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিততে শেষ দিন বুমরা-সামিদের চাই ৬ উইকেট (ছবি-বিসিসিআই টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 10:24 PM

তৃতীয় দিন ভারত (১৬-১) এর পর ভারত – ৩২৭ (১০৫.৩ ওভার) (প্রথম ইনিংস) এবং ১৭৪ (৫০.৩ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস) দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৯৭ (৬২.৩ ওভার) (প্রথম ইনিংস) এবং ৯৪-৪ (৪০.৫ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস) দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট – ৩০৫ 

সেঞ্চুরিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পিচ থেকে সুবিধা তুলতে গেলে, টেকনিক কাজে লাগাতেই হবে। প্রোটিয়াদের দেশে উইকেটে থিতু হতে গেলে, শট নির্বাচন করার সময়ও অনেক হিসেব নিকেশ করা দরকার। তা বুঝিয়ে দিল চতুর্থ দিনের খেলা। সুপারস্পোর্ট পার্কে চতুর্থ দিন ১৭৪ রানে থেমে গেল কোহলিদের দ্বিতীয় ইনিংস। দিনের শুরুটা করতে নেমেছিলেন কেএল রাহুল ও শার্দূল ঠাকুর। প্রথম সেশনের শুরুতেই শার্দূলের উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। ১০ রানের মাথায় শার্দূলের উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাডা। লোকেশ রাহুল প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এল শুধু ২৩ রান। সুইং-বাউন্স কাজে লাগাতে থাকলেন রাবাডা-জ্যানসেনরা। আর একের পর উইকেট হারাতে থাকল বিরাটের ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি। তবে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ডিন এলগার ছাড়া বাকিরাও ব্যাট হাতে চতুর্থ দিন খুব আহামরি পারফর্ম করতে পারেনি।

পূজারার সঙ্গে জুটিতে রাহুল ২০ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট। প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারায় ভারত। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত পূজারাকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ক্যাপ্টেন ভিকে। তবে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে এসেই মার্কো জ্যানসেনের প্রথম বলে উইকেট হারান বিরাট। অফস্টাম্পের বাইরের বল যেন কোহলির কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ইনিংসে এনগিডি যে ভাবে তাঁকে আউট করেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকটা সে ভাবেই ক্যাচ আউট হলেন কোহলি। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৩৫। আর দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হলেন ১৮ রানে। দু’বছর ধরে কোহলির ব্যাটে কোনও সেঞ্চুরি নেই। টানা ৬০ ইনিংসে কোনও শতরান আসেনি তাঁর ব্যাটে। আরও একটা বছর সেঞ্চুরিহীন হয়েই কাটাতে হল বিরাটকে।

বিরাট সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে আসেন রাহানে। পূজারা-রাহানে জুটিতে ৩০ রান তোলেন। ফের ব্যর্থ হলেন পূজারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর রান ১৬ (০+১৬)। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এনগিডির বলে আউট হলেন পূজারা। তিনি ফেরার পর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি রাহানেও। ২০ রান করে মার্কো জ্যানসেনের শিকার হন তিনি। এরপর অশ্বিন-পন্থ জুটি এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে টিম ইন্ডিয়াকে। রাবাডার বলে অশ্বিন ফেরার পর সামির সঙ্গে জুটি বাঁধেন পন্থ। তবে সেই রাবাডার শিকার হতে হয় পন্থকে। ৩৪ রানের মাথায় মাঠ ছাড়েন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৫০.৩ ওভার খেলে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে গেল। দুই ইনিংস মিলিয়ে টিম ইন্ডিয়া ৩০৫ রানের টার্গেট দিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন ঋষভ পন্থ (৩৪), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে কেএল রাহুলের ব্যাট থেকে। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা এবং মার্কো জ্যানসেন। ২টি উইকেট পেয়েছেন লুনগি এনগিডি।

চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪ উইকেটে ৯৪। প্রথম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ম্যাচ জিততে প্রোটিয়াদের চাই ২১১ রান এবং টিম ইন্ডিয়ার প্রয়োজন ৬টি উইকেট। ক্রিজে রয়েছেন ডিন এলগার (৫২*)। চতুর্থ দিন ২টি উইকেট পেয়েছেন জশপ্রীত বুমরা। এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ সামি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ৩২৭ ও ১৭৪ (কেএল রাহুল ২৩, ঋষভ পন্থ ৩৪; কাগিসো রাবাডা ৪-৪২) দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৭ ও ৯৪-৪ (ডিন এলগার-৫২*; মহম্মদ সামি ২-২২)