Ravi Shastri: এনসিএ তো ঘরবাড়ি, স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে! বুমরাদের খোঁচা শাস্ত্রীর
চোটের কারণে বেশিরভাগ সময় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের উপর রাগ ঝাড়লেন রবি শাস্ত্রী।
কলকাতা: ভারতীয় দলে চোট সংবাদ শুনে শুনে ক্লান্ত। চোটের কারণে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে দলের বাইরে জসপ্রীত বুমরা। অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। এরপর শ্রেয়স আইয়ারের চোট। তিনিও অস্ত্রোপচারের কারণে আপাতত পাঁচমাস দলের বাইরে। তালিকার নবতম সংযোজন চেন্নাই সুপার কিংসের দীপক চাহার। চোট সারিয়ে জাতীয় দলের প্রত্যাবর্তনে পথ সুগম হয়নি দীপকের (Deepak Chahar)। আইপিএলের মঞ্চে নিজেকে ফের একবার প্রমাণ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচ খেলতে না খেলতেই ফের চোটের কবলে পড়েছেন তিনি। বিষয়টি ভীষণ হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) কাছে। বারবার চোটের কবলে পড়া দেশের ক্রিকেটারদের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ বলে খোঁচা দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। বিসিসিআইকেও (BCCI) কথা শোনাতে ছাড়েননি। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla–র এই প্রতিবেদনে।
কিছু কিছু ক্রিকেটারদের সব ফরম্যাটে খেলতে হচ্ছে না। কিন্তু আইপিএলের টি-২০ ম্যাচে চার ওভার বলও করার মতোও ফিট নন তাঁরা। ভেবে অবাক হচ্ছেন প্রাক্তন কোচ। তিনি বলেছেন, “তোমরা তো সেভাবে ক্রিকেট খেলছই না, অথচ বারবার চোটের কবলে পড়ছ। টানা চারটে ম্যাচও খেলতে পারছে না। তাহলে এনসিএ-তে যাচ্ছে কীসের জন্য? সেরে উঠে তিনটে ম্যাচ খেলে আবার সেখানেই (এনসিএ) ফিরে যাচ্ছে। আগে পুরোপুরি ফিট হও তারপর ফিরো। কারণ এটা ভীষণ হতাশাজনক। শুধু ভারতীয় দলের জন্য নয়, দলের ক্রিকেটার, বিসিসিআই এবং আইপিলএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ক্যাপ্টেনদের জন্যও এটা বিরক্তিকর।” শাস্ত্রীর সংযোজন, “তিন থেকে চারজন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা এনসিএ-র স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন। খুব শীঘ্রই রেসিডেন্ট পারমিট পেয়ে যাবেন। যখন খুশি যাবেন আর আসবেন। এগুলো মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। অবিশ্বাস্য লাগছে।”
বিসিসিআইয়ের অধীনে থাকা বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিকেল টিম রয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের সেখানে থেকে চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এনসিএ থেকে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পরও ক্রিকেটাররা ফের চোটের কবলে পড়ছেন। এটা একাধিকবার একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে ঘটেছে। এনসিএ-র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।