Ricky Ponting: দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হাসপাতাল থেকে ফিরে আবার কমেন্ট্রি বক্সে পন্টিং!

দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন চ্যানেল সেভেনের হয়ে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলেছেন, "আমি বোধহয় সবাইকেই ভয় পাইয়ে দিয়েছিলাম।"

Ricky Ponting: দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হাসপাতাল থেকে ফিরে আবার কমেন্ট্রি বক্সে পন্টিং!
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 2:24 PM

পারথ: একদিন আগেই তাঁর অসুস্থতা ভাবিয়ে তুলেছিল ক্রিকেট দুনিয়াকে। সেই রিকি পন্টিংকে (Ricky Ponting) আবার কমেন্ট্রি বক্সে দেখা গেল চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (Australia vs West Indies) প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন হঠাৎই বুকে যন্ত্রণা অনুভব করেন প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বন্ধু জাস্টিন ল্যাঙ্গার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষার পর সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল। যে কারণে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পন্টিংয়ের কমেন্ট্রি বক্সে প্রত্যাবর্তন স্বস্তি দিয়েছে ক্রিকেটমহলকে। শনিবার ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে শুক্রবারের ঘটনা তুলে ধরেছেন পন্টিং নিজেই। কী বললেন তিনি? তুলে ধরল TV9 Bangla

দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন চ্যানেল সেভেনের হয়ে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি বোধহয় সবাইকেই ভয় পাইয়ে দিয়েছিলাম। সত্যি বলতে কী, আমি নিজেও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’ গতকালও কমেন্ট্রি করছিলেন পন্টিং। লাঞ্চ পর্যন্ত তিনিই দিচ্ছিলেন ধারাভাষ্য। তখনই হঠাৎ বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়। তিনি আর দেরি করেননি। দ্রুত হাসপাতালে চলে যান। সম্প্রতি শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। পন্টিংয়ের আচমকা অসুস্থতা যে কারণে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল অন্যদেরও।

পন্টিং বলেছেন, ‘ওই সময় আমি কমেন্ট্রি বক্সেই বসেছিলাম। হঠাই বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করি। আমি চেষ্টা করেছিলাম পরিস্থিতি সামলে নিতে। ওই সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম বলে অন্য উপায়ও ছিল না। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। মাথাটা সামান্য ঘুরেও যায়। তারপর আর ঝুঁকি নিতে পারিনি। ল্যাঙ্গারকে আমি ব্যাপারটা খুলে বলেছিলাম। ওই সময় ক্রিস জোন্সও ছিল। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে আমি হাসপাতালে চলে যাই। ওখানে সেরা চিকিৎসা পেয়েছি।’

হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন পন্টিং। রাতে ভালো ঘুম হওয়ায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৪৭ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলছেন, ‘ল্যাঙ্গার বা চ্যানেলের সবাইকে পাশে পেয়েছি। এটা পজিটিভ দিক। একই সঙ্গে বলব, আমাদের বয়সের লোকজনকে কিন্তু তাদের শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরতে হবে। আমি তো বলব, আমার একটা বড় শিক্ষা হয়ে গেল।’