Sarfaraz Khan: অবশেষে উঠল সূর্য… ছেলের অভিষেক দেখে এমন প্রতিক্রিয়া কেন সরফরাজের বাবার?

India vs England: রাজকোটে সরফরাজকে যখন টেস্ট ক্যাপ তুলে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের জাম্বো অনিল কুম্বলে, সেই সময় তাঁর বাবার চোখের জল বাঁধ মানল না। হাজারো লড়াইয়ের মুহূর্ত ভিড় করে এসেছিল সরফরাজের মনেও। টেস্ট (Test) ডেবিউ ক্যাপ হাতে পাওয়ার পরই মাঠে থাকা বাবা ও স্ত্রীর দিকে এগিয়ে যান সরফরাজ। অশ্রুসিক্ত স্ত্রীর চোখ মুছিয়ে দেন। বাবা বুকে টেনে নেন তাঁকে।

Sarfaraz Khan: অবশেষে উঠল সূর্য... ছেলের অভিষেক দেখে এমন প্রতিক্রিয়া কেন সরফরাজের বাবার?
Sarfaraz Khan: অবশেষে উঠল সূর্য... ছেলের অভিষেক দেখে এমন প্রতিক্রিয়া কেন সরফরাজের বাবার?Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Feb 15, 2024 | 4:26 PM

কলকাতা: বাবার হাত ধরে মাত্র ৬ বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় সরফরাজ খানের (Sarfaraz Khan)। মুম্বইয়ের তরুণ ব্যাটারের জাতীয় টিমে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এই স্বপ্ন যতটা সরফরাজের ছিল, ঠিক ততটাই ছিল তাঁর বাবা নওশাদ খানেরও। রাজকোটে সরফরাজকে যখন টেস্ট ক্যাপ তুলে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের জাম্বো অনিল কুম্বলে, সেই সময় তাঁর বাবার চোখের জল বাঁধ মানল না। হাজারো লড়াইয়ের মুহূর্ত ভিড় করে এসেছিল সরফরাজের মনেও। টেস্ট (Test) ডেবিউ ক্যাপ হাতে পাওয়ার পরই মাঠে থাকা বাবা ও স্ত্রীর দিকে এগিয়ে যান সরফরাজ। অশ্রুসিক্ত স্ত্রীর চোখ মুছিয়ে দেন। বাবা বুকে টেনে নেন তাঁকে। নওশাদের চোখ বেয়ে জলের ধারা থামছিলই না। এই মুহূর্তটা দেখার জন্য দিন-রাত সরফরাজের পাশে থেকেছেন তিনি। এই সকালটার জন্য রাতের পর রাত স্বপ্ন দেখেছিলেন সরফরাজ ও তাঁর বাবা। তা পূরণ হতে স্বাভাবিকভাবই জমানো আবেগের বিস্ফোরণ হয়েছে।

নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সরফরাজের বাবার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে যাওয়ার ছবি। এ বার ভাইরাল হল সরফরাজের বাবার প্রতিক্রিয়া। ছেলে অবশেষে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন। গর্বে বুক ভরে গিয়েছে নওশাদ খানের। রাজকোট টেস্টের প্রথম সেশন চলাকালীন হিন্দির কমেন্ট্রি বক্সে ডাক পেয়েছিলেন সরফরাজের বাবা নওশাদ। সেখানে আকাশ চোপড়া টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ডেবিউ টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা সরফরাজের বাবাকে জিজ্ঞাসা করেন, ছেলের অভিষেক দেখার জন্য তাঁকে কি দীর্ঘ প্রতিক্ষা করতে হল? বেশ গুছিয়ে উত্তরে দেন নওশাদ। তাঁর কথায়, ‘রাত শেষ হতে সময় লাগে, কিন্তু সকালটা এমনই যে আমার ইচ্ছেতে তো আর আসে না।’

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবশেষে অবসান। এমন একটা সকালের অপেক্ষাতেই ছিলেন সরফরাজ ও তাঁর পরিবার। রাজকোটে আজ তা পূরণ হতেই খানিকটা অভিমানের সুরে সরফরাজের বাবা নিজের মনের অবস্থা তুলে ধরলেন। জিও সিনেমাকে সরফরাজের বাবা নওশাদ বলেন, ‘প্রথমেই আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই কান্না খুশির, আনন্দের। এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম আমি। অনেক বার ভেবেছি কাঁদব। কিন্তু আমি একজন বাবা এবং একজন কোচও। ফলে আমার কাঁদাটা ভালো দেখায় না। আজ আর আমি কান্না আটকে রাখতে পারলাম না।’