Sri Lanka Economic Crisis: শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি, প্রতিবাদে সামিল জয়সূর্য, সঙ্গকারা, জয়বর্ধনে
আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত সারা দেশ। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শ্রীলঙ্কার জনসাধারণ। তাদের উপরেই চলল গুলি। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন শ্রীলঙ্কার এই প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
কলম্বো: একেই কি বলে গণতন্ত্র? প্রশ্ন তুলে দিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) একঝাঁক প্রাক্তন ক্রিকেটার। আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত ওই দেশ। কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার দায় বর্তমান সরকারের উপরেই চাপানো হচ্ছে। করোনাকালীন পরিস্থিতি ঠিক মতো সামলাতে না পারার জন্যই এই অবস্থা। সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশেই চলছে বিক্ষোভ। তার মধ্যে তেলের দাম হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রামবুক্কানা ও রাবুকান্না শহরে এ নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিপুল জনতা। অশান্ত জনতাকে সামলাতে পুলিশ নির্বিবাদে গুলি চালিয়েছে। একজন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছে বেশ কিছু মানুষ। তা নিয়ে ফের উত্তাল শ্রীলঙ্কা। প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য (Sanath Jayasuriya), কুমার সঙ্গকারা (Kumar Sangakkara), মাহেলা জয়বর্ধনের (Mahela Jayawardene) মতো ক্রিকেটাররা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। আর্থিক সঙ্কটে পড়তেই পারে দেশ, তাই বলে বিক্ষোভে সামিল জনতার উপর কেন গুলি চালানো হবে?
জয়সূর্যর মতো বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বলেছেন, ‘রাবুকান্নায় বিক্ষোভে সামিল জনতার উপর জঘন্যভাবে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা করছি। অনুশোচনা হওয়া উচিত এমন ঘটনার জন্য। এই ক্ষতি অপূরণীয়।’ সঙ্গকারাও টুইটারে লিখেছেন, ‘নিরস্ত্র জনতার উপর পুলিশি হামলাকে অসংবেদনশীল ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। পুলিশের কাজই হল মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া, তাকে বাঁচানো। অথচ তারাই বর্বতার চরম নিদর্শন রাখল।’
রামবুকান্নার ঘটনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রীলঙ্কার ওই ঘটনা ঘিরে তীব্র নিন্দাও চলছে। যে দেশের সরকার সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ, পেট্রোল জোগাতে পারে না, তারাই কি আমজনতার উপর পুলিশি হামলার নির্দেশ দেয়, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কটের খবর চাউর হওয়ার পরও দেশের ক্রিকেটাররা এ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না। শ্রীলঙ্কার একঝাঁক ক্রিকেটার আইপিএল খেলতে ব্যস্ত। সঙ্গকারা, জয়বর্ধনের মতো প্রাক্তনরা আইপিএল টিমের কোচিং করাচ্ছেন। বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন ও মন্ত্রী অর্জুন রণতুঙ্গা এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। প্রাক্তনরা এ বার মুখ খুললেন দেশের সরকারি নীতির বিরুদ্ধে।
জয়বর্ধনে বলেছেন, ‘যদি সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়ে হিংসা প্রদর্শন করে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে, তা হলে তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। তাদের উপর গুলি চালানো হবে কেন? একেই কি গণতন্ত্র বলে? এই ঘটনার জন্য যেই দায়ী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যাতে সুবিচার পায় মানুষ। শ্রীলঙ্কা পুলিশকে ধিক্কার জানাই।’