IND vs ENG: ৩০ বছরে ‘আনলাকি’ অভিষেক, মজার উত্তর দিলেন রজত পাতিদার
India vs England 2nd Test: বিশাখাপত্তনমে অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন রজত পাতিদার। কিন্তু লেগ স্পিনার রেহান আহমেদের একটা ডেলিভারি তাঁর কাছে আনলাকি হয়ে দাঁড়াল। হঠাৎই বেশ খানিকটা লাফিয়ে ওঠে বল। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাউন্স। রজত ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন। ব্যাটের অনেকটা উপরের দিকে লাগে বল। এই অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু তা যে পিচে বাউন্স খেয়ে উইকেটের দিকে যাবে, ভাবেননি। যতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন, পা বাড়িয়েও আটকাতে পারেননি।
কলকাতা: অভিষেক টেস্টকে ভালো-মন্দ কোনও বিশেষণেই যেন আটকে রাখতে পারবেন না রজত পাতিদার। তাঁর কাছে সুযোগ আসবে। কবে আসবে এ তো জানা ছিল না! অনেকেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে এসেই টেস্ট অভিষেক করেন। কেউ বা আইপিএলে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জাতীয় দলের দরজা খোলেন। রজত পাতিদার ঘরোয়া ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম। তবে এত দিন তাঁর পরিধি ছিল প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট। মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে থাকে। ভারত এ দল, টেস্ট দলেও ঢুকেছেন। অভিষেক হল ৩০ বছর বয়সে। তাতে অবশ্য কোনও অভিমান নেই। বরং মজার উত্তর দিলেন রজত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণার পরও নাম ছিল না রজত পাতিদারের। ব্যক্তিগত কারণে বিরাট কোহলি প্রথম দু-ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াতেই ডাক পড়ে রজতের। তাতেও নিশ্চয়তা ছিল না খেলার সুযোগ মিলবে কিনা। স্কোয়াডে তো অনেকেই থাকেন! খেলার সুযোগ হবেই, এই গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। হায়দরাবাদ টেস্টে লোকেশ রাহুলের চোটের পর স্কোয়াডে আনা হয় সরফরাজ খানকেও। টিম ম্যানেজমেন্ট দ্বিধায় ছিল সরফরাজ নাকি রজত! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় ‘আগে’ আসা রজতেরই ভাগ্য খুলল।
বিশাখাপত্তনমে অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন রজত পাতিদার। কিন্তু লেগ স্পিনার রেহান আহমেদের একটা ডেলিভারি তাঁর কাছে আনলাকি হয়ে দাঁড়াল। হঠাৎই বেশ খানিকটা লাফিয়ে ওঠে বল। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাউন্স। রজত ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন। ব্যাটের অনেকটা উপরের দিকে লাগে বল। এই অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু তা যে পিচে বাউন্স খেয়ে উইকেটের দিকে যাবে, ভাবেননি। যতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন, পা বাড়িয়েও আটকাতে পারেননি। ৩০ বছরে অভিষেক। আনলাকি আউট।
প্রথম দিনের খেলা শেষে রজত পাতিদার অবশ্য ৩০ বছরে অভিষেক নিয়ে মজার উত্তরই দিলেন। বলছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে অপেক্ষা করাটা খুবই সাধারণ বিষয়। প্রচুর প্লেয়ার। যে টুকু নিজের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাতেই ফোকাস করেছি। ৩০ বছরে হলেও এই অবধি পৌঁছতে পেরেছি, সেটাও দারুণ অনুভূতি।’ অভিষেক ইনিংসে ৩২ রানের ইনিংসটা আরও বাড়তে পারতো। কিন্তু বাউন্সটাই যেন সব বিগরে দিল!