England Football: যৌন কর্মীর ব্ল্যাকমেইলের শিকার, বিপুল অর্থ খোয়ালেন ইংল্যান্ডের নামী ফুটবলার

আপাতত ব্ল্যাকমেইল থেকে হয়তো মুক্তি পেয়েছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ সুরাহা পেয়েছেন কি? সেই উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ফুটবলারের কাণ্ড দেখে অবাক ইংল্যান্ড পুলিশ। মোটা টাকা দিয়ে কোনও ক্রমে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা।

England Football: যৌন কর্মীর ব্ল্যাকমেইলের শিকার, বিপুল অর্থ খোয়ালেন ইংল্যান্ডের নামী ফুটবলার
ইংল্যান্ড ফউটবলে নতুন যৌন কেলেঙ্কারি? Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 9:32 AM

লন্ডন: খেলার মাঠের তারকাদের যৌন কেলেঙ্কারিতে (Sex scandal) জড়িয়ে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের (England Football Team) এক তারকা ফুটবার যে কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন, তার নজির খুব বেশি নেই। কে এই ফুটবলার? উত্তর এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ পুরো ব্যাপারটাই গোপনে রাখা হয়েছে। তিনি যে অতি পরিচিত মুখ, সে কথা মাথায় রেখেই ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ঘটনাটা। নাম খারাপ হতে পারে, সমস্যা হতে পারে ফুটবল কেরিয়ারে, এমনকি চুক্তি বাতিল করতে পারে ক্লাব, এই সব ভেবে পুলিশে করা অভিযোগও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেই ফুটবলার। তবে এই ঘটনা এখনকার নয়। করোনা ফনা তুলেছে যখন, দেশে দেশে স্তব্ধ জনজীবন। লকডাউনে (lockdown) যৌন সুখের খোঁজে ইন্টারনেটের (Internet) মায়াজালে ধরা দিয়েছিলেন সেই ফুটবলার। তারপর থেকে টেমসে (Thames) দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। প্রায় জলের তলায় চলে যাওয়া সেই ঘটনা ভেসে উঠেছে ইংল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে।

প্রথমে বলা যাক ঠিক কী ঘটেছিল। ঘটনা লকডাউনের সময়, খেলা নেই, অনুশীলন হচ্ছে না। ফাঁকা সময়ে তাই যৌনসুখের খোঁজে ইন্টারনেটে এক রূপান্তরকামী যৌনকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ফুটবলার। চুক্তি মতো সিটি সেন্টারের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে চলত অবাধে যৌনতা। একবার নয় একাধিক বার। প্রতিবার সেই যৌন কর্মীকে দেড়শ ইউরো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। ফুটবলারটির আশা ছিল, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে না। যৌন অভিযান চালিয়ে যেতে সমস্যাও হবে না তাঁর। কিন্তু সেই যৌনকর্মী সেলিব্রিটি ক্লায়েন্ট পেয়ে ফ্ল্যাটের ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করে ফেলেন গোপনে। ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করে রাখেন। তারপর থেকে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। ভয় দেখিয়ে টাকা তোলেন বহুবার। ফেঁসে গিয়েছেন, বেশ বুঝতে পারেন সেই নামী ফুটবলার। দাবি মতো প্রায় ৩০ হাজার ইউরো সেই যৌনকর্মীকে দফায় দফায় দিয়েও দেন। তাতেও দাবি থামছিল না। উল্টে বাড়ছিল। বিপাকে পড়ে ওই ফুটবলার দ্বারস্থ হলেন পুলিশের।

মোবাইলের স্ক্রীনশট থেকে শুরু করে টাকা লেনদেনের হিসেব নিয়ে শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। সেই যৌনকর্মীর হদিশ পেতে পুলিশের বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু সম্মানের ভয়ে সেই ফুটবলার পুলিশের সামনে জবানবন্দি দিতে কোনও ভাবেই রাজি ছিলেন না। উল্টে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন তিনি। আপাতত ব্ল্যাকমেইল থেকে হয়তো মুক্তি পেয়েছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ সুরাহা পেয়েছেন কি? সেই উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ফুটবলারের কাণ্ড দেখে অবাক ইংল্যান্ড পুলিশ। মোটা টাকা দিয়ে কোনও ক্রমে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা।

আরও পড়ুন : ‘শত্রুদেশে সাক্ষাৎকার দিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে’, কানেরিয়াকে পাল্টা দিলেন শাহিদ আফ্রিদি