Subhash Bhowmick: প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক
না ফেরার দেশে চলে গেলেন ময়দানের ভোম্বলদা।
কলকাতা: ময়দানে ফের শোকের ছায়া। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক (Subhash Bhowmick)। আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুভাষ। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার এবং আশিয়ান কাপজয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সুগার এবং কিডনির অসুখে ভুগতে থাকা সুভাষকে প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছিল। প্রায় বছর কুড়ি আগে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল তাঁর। সপ্তাহ দুয়েক আগে বুকে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন একবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
সুভাষের ভবিষ্যৎ চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়ে একটি জরুরী সভা হয় শুক্রবার বিকেলে, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ঘরে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা। এ ছাড়া ছিলেন আইএফএর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডানের কার্যকরী প্রেসিডেন্ট কামারউদ্দিন, ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডিরেক্টর সহ তাঁর মেডিকেল টিম এবং সুভাষের ছেলে অর্জুন ভৌমিককেও ডাকা হয়েছিল। ওই জরুরী সভায় ঠিক হয়েছিল, আইএফএ সহ কলকাতা তিন প্রধান পাশে দাঁড়াবে সুভাষের। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। ইতিমধ্যে প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসার জন্য চল্লিশ হাজার টাকার ওষুধ ক্রীড়ামন্ত্রীর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সব শেষ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সুভাষ। আর ফিরে আসবেন না ময়দানের ভোম্বলদা। ফুটবলার জীবন শেষ করার পর দ্রুত কোচিংয়ে চলে এসেছিলেন তিনি। ভারতীয় টিমের কোচিংও করিয়েছেন। মোহনবাগানের কোচ হিসেবে ময়দানে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তাঁর। সাফল্য পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলে এসে। ২০০৩ সালে ইস্টবেঙ্গলকে আশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। পর পর দু’বছর সুভাষের কোচিংয়েই আই লিগ জিতেছিল লাল-হলুদ। এর পর মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে।